Bakkhali: বাঁধ সংস্কারে বেআইনিভাবে ব্যবহৃত সমুদ্রের পলি ও বালি, গণসাক্ষর নিয় থানায় অভিযোগ বকখালিতে
South 24 Pargana: এই বেআইনি কাজ আটকাতে পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের গণস্বাক্ষর করে বিডিও, বিলিআরও, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ রমরমিয়ে চলছে।
গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ভাঙন বাড়ছে। আর তার জেরে মন্দা বকখালি পর্যটনকেন্দ্রে। সেই ভাঙন আটকাতে শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সমুদ্রের পলি ও বালি। সেই পলি ও বালি কাটা হচ্ছে বাঁধের পাশ থেকে। প্রতিদিন পেলোডার দিয়ে বাঁধ মেরামতির ঠিকাদার সংস্থা বঙ্গোপসাগরের তীর থেকে দেদার পলি, বালি কেটে চলেছে। কাটার পর পলি, বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্র্যাক্টর ভরে। এই পলি ও বালি কাটা বেআইনি বলে দাবি স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে সাধারণ বাসিন্দাদের।
এই বেআইনি কাজ আটকাতে পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের গণস্বাক্ষর করে বিডিও, বিলিআরও, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ রমরমিয়ে চলছে। নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস জানিয়েছেন, এভাবে কেউ পলি, বালি কাটতে পারে না। পঞ্চায়েত সমিতি কিছু জানে না। নামখানার বিএলআরও শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। ঠিকাদার সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বকখালির পাশেই ফ্রেজারগঞ্জ কলোনি, লক্ষ্মীপুর, বিজয়বাটি, দাসকর্নার, হাতিকর্নার একাধিক গ্রাম আছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এই এলাকায় দ্রুত ভাঙন হচ্ছে। ভাঙন ইতিমধ্যে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে জমি, বাড়ি, গাছ। এই এলাকাকে রক্ষা করার জন্য সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতি চলছে। আর সেই বাঁধ মেরামতি নিয়ে গুচ্ছের অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সাধারণ গ্রামবাসীদের। বাঁধের পাশে সমুদ্রতীর থেকে এভাবে পলি, বালি তুলে নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ভাঙনের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন সকলে।
এর আগে দানা ঘূর্ণিঝড়ের সময় দেখা গিয়েছিল বাঁধ নির্মাণে হাত লাগিয়েছিলেন গ্রামের মহিলারা। সরকারের কাছে চাহিদা পাকাপোক্ত একটা বাঁধ। কিন্তু তাও যেন স্বপ্ন। আর যখনই কানে এল...ধেয়ে আসছে আরও একটা ঘূর্ণিঝড়। তখন আর ঘরে বসে থাকবেন কী করে। গ্রামের মহিলারাই নেমে পড়লেন মাটির বাঁধ মেরামত করতে। এমনই ছবি ধরা পড়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর এলাকার মন্দিরতলা-খেয়াঘাটে। সেচ দফতর থেকে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে মাটির বাঁধ। তা যাতে জলে না ধুয়ে যায়, সেজন্য ঢাকা দেওয়া হয়েছিল বিশেষ চট দিয়ে। কিন্তু, জলের তোড়ে বেশ কয়েক জায়গায় তা ফেটে গেছে। যার ফলে মাটিও গলতে শুরু করেছে। কিন্তু, বাঁধ ভেঙে গেলে তো সর্বনাশ। অগত্য়া শেষ মুহূর্তে গ্রামের মহিলারাই হাত লাগালেন সেই চট সেলাই করতে।