Diamond Harbour: সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেলের জন্য পড়ুয়া পিছু ৫০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক জানিয়েছেন, সবুজসাথী প্রকল্পে বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের টাকা নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সবুজসাথী প্রকল্পে (Sabooj Sathi Prakalpa) সাইকেলের জন্য পড়ুয়া পিছু ৫০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ডায়মন্ড হারবারের একটি স্কুলের বিরুদ্ধে। গত শনিবার খোর্দনলা বিপিনবিহারী শিক্ষাসদনে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাইকেল।
অভিভাবকদের অভিযোগ, সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পেতে স্কুলকে ৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। না হলে সাইকেল দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের তহবিলে টাকা না থাকায়, নুরপুর হাই মাদ্রাসা থেকে সাইকেলগুলি আনাতে পরিবহণ খরচ বাবদ এই টাকা নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক জানিয়েছেন, সবুজসাথী প্রকল্পে বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের টাকা নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সম্প্রতি সরকারি প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতি (Corruption) প্রকাশ্যে এসেছিল কোচবিহারেও। রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শীতলকুচি ব্লকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক যুবতী।সম্প্রতি ও যুবতীর বিয়ে হয় কিন্তু রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা না পাওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর কাছে তার কারণ জানতে চায়, লিটন ঘোষ নামে ওই কর্মী জানায়, '১০ হাজার টাকা দিলে টাকা পাওয়া যাবে।' পাশাপাশি এই কথা জানাজানি হলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই শীতলকুচি ব্লকের ভিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই দম্পতি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও সোফিয়া আব্বাস। যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্মী।
গতবছর একশো দিনের প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল মালদায়। সম্প্রতি ১০০ দিনের প্রকল্প ঘিরে তীব্র তরজা শুরু হয়েছিল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। একশো দিনের প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলাও করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতেই সামনে এল ওই প্রকল্পে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তীর গিয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বাবুপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। মালদার জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, দম্পতির বিলাসবহুল গাড়ি থেকে কোটি কোটি কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করল এসটিএফ
যদিও দুর্নীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। গাজোলের তৃণমূল পরিচালিত বাবুপুর পঞ্চায়েতের প্রধান। জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গ্রামবাসীরা জানান সেবার, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ড্রাগন ফল ও কলা চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, আদৌ কোনও কাজ হয়নি। তার বদলে প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা, পঞ্চায়েত প্রধান-সহ তৃণমূলের একাংশ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। যদিও, ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা ওবায়দুর হক। তিনি বলেছিলেন, 'সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত কাজ করা হয়েছে। টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিরোধীরা চক্রান্ত করছে।'