South 24 Parganas: ছোঁ মেরে টাকা নিয়ে চম্পট, ব্যাঙ্কের ভিতরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ কুলপিতে
Kulpi Police Station: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ব্যাগে ভরে রাখছিলেন এক মহিলা। পাশের বেঞ্চে বসে সবটা দেখছিল এক যুবক। হঠাৎ ঘটল সেই ঘটনা।
গৌতম মণ্ডল, কুলপি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভিতরে ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। ব্যাঙ্কে কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বৃদ্ধা গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানা। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতির খোঁজ চলছে।
টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ব্যাগে ভরে রাখছিলেন এক মহিলা। পাশের বেঞ্চে বসে সবটা দেখছিল এক যুবক। হঠাৎ ঘটল সেই ঘটনা। ছোঁ মেরে টাকা নিয়ে চম্পট দিল যুবক। একশো-দুশো নয়। নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত। অভিযোগকারী ব্যাঙ্কের গ্রাহক জাহানারা বিবি বলেন, "টাকা তুলেছি। ৫০ হাজার। বৌমার হাতে দিয়েছি বোমা গুনছিল। পাশের বেঞ্চে বসেছিল। ছুটে নিয়ে চলে গেল।'' দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বৌমাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন জাহানারা বিবি। জমি বিক্রির নগদ ৫০ হাজার টাকা তোলার পর ব্যাগে রাখছিলেন। জাহানারা বিবির বৌমা মৌরজান বিবির কথায়, "শ্বাশুড়ি টাকা দিয়েছিল, আমি গুনে রাখছিলাম, গুনে ব্যাগে রাখছিলাম তখন টাকা কেড়ে নিয়ে চলে গেল। আমরা চোর চোর করছি, ছুটে চলে গেল। না পুলিশ কন্সটেবল কেউ ছিল না।''
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, যেখানে প্রতিদিন শয়ে শয়ে গ্রাহকের যাতায়াত, লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হচ্ছে। সেখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই কোনও পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থাও নেই। গ্রাহকদের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই তাঁদের লেনদেন করতে হয়। ব্রাঞ্চ হেড দিব্যেন্দু সাহার কথায়, "গ্রাহক টাকা গুনে ব্যাগে ভরতে যাচ্ছে তারমধ্যেই ছেলেটি ছিনতাই করে পালিয়ে গেল। পুলিশ এসেছিল আমার কাছে। আশা করব দ্রুত সমাধান করতে পারবে। নিরাপত্তারক্ষী থাকাটা দরকার। থাকলে ভাল হয়।'' গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানা। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতির খোঁজ চলছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Dengue Case: শীতেও ডেঙ্গির চোখরাঙানি, ডিসেম্বরের শেষেও রাজ্যে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা