Kultali TMC Leader Faces Agitation : আমফানের ২ বছর পরও গ্রামে পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ, কুলতলিতে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা
South 24 Parganas News : সন্ধে ঘনালে ভরসা সেই কুপির আলো। গ্রামের রাস্তাঘাটেরও দৈন্যদশা। থাকার মধ্যে আছে এই নড়বড়ে কাঠের সেতু।
সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : প্রতিশ্রুতির অভাব নেই! কিন্তু, আমফানের পরে ২ বছর কেটে গেলেও, গ্রামে পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ। আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি রাস্তাঘাট। এই সমস্ত অভিযোগে কুলতলির ময়রার চক গ্রামের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতিকে! এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কুলতলির (Kultali) তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন !
দলীয় কর্মিসভাতে গিয়েও ক্ষোভের মুখে
দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে নয়, দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুধরচন্দ্র হালদার। সেখানেই গ্রামবাসীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের ময়রার চক গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রত্যন্ত এই এলাকায় বহু বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। সন্ধে ঘনালে ভরসা সেই কুপির আলো। গ্রামের রাস্তাঘাটেরও দৈন্যদশা। থাকার মধ্যে আছে এই নড়বড়ে কাঠের সেতু। সেসব নিয়েই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে কাছে পেয়ে, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা।
কী অভিযোগ বাসিন্দাদের, আশঙ্কায় তৃণমূল নেতৃত্ব
কুলতলির ময়রার চকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমাদের এরকমভাবে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ তো দূরের কথা, আমাদের যে রাস্তাঘাট, কীভাবে আমরা এতগুলো মানুষ বেঁচে আছি। ভোটের সময় শুধু এসে বলে এরকমভাবে, তোমাদেরকে রাস্তা করে দেওয়া হবে, কারেন্ট দেওয়া হবে, সব দেওয়া হবে, কিন্তু কাজের বেলায় কোনও কিচ্ছু নেই।'
গ্রামবাসীদের অসন্তোষ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কিত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কুলতলির গোপালগঞ্জের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সুধরচন্দ্র হালদার বলেছেন, 'এদের দাবি সার্বিক দাবি, এদের এই দাবি যদি আমরা পূরণ না করতে পারি, তাহলে অবশ্যই এই ক্ষোভ ব্যালটে পড়বে।' যদিও কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডলের মুখে ফের শোনা গেছে আশ্বাসবাণী!
কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, 'ময়রার চকটা একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। আমরা আমফানের আগে ওখানে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরবর্তী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে, আমফানে বিদ্যুৎ সংযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। সামনের সপ্তাহে হয়তো বা ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে'।
আমফানের পরে ২টো বছর কেটে গেছে। তারপরও গ্রামে ঢোকেনি বিদ্যুৎ সংযোগ! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কী এলাকার সমস্যার সমাধান হবে? মিটবে গ্রামবাসীদের দাবি দাওয়া? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত ক্যানিং, উদ্ধার অস্ত্র-বোমা, বারুদের গন্ধ চারিদিকে