Canning Arms Recovered : তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত ক্যানিং, উদ্ধার অস্ত্র-বোমা, বারুদের গন্ধ চারিদিকে
TMC Inner Clash : ঘটনাকে ঘিরে সামনে চলে এল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির গোষ্ঠীর বিবাদ।
শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যানিং (Canning)। উদ্ধার হল বন্দুক (Arms Recovered), তাজা বোমা (Bombs Recovered)। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতির ছেলে-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। গোটা ঘটনায় সামনে চলে এল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিবাদ।
আগ্নেয়াস্ত্র-বোমা উদ্ধার
শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। আর শনিবার সকালে মিলল তাজা বোমা। পঞ্চায়েত ভোটে মুখে যেন বারুদের গন্ধে ছেয়ে গেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতির ছেলে। ঘটনাকে ঘিরে সামনে চলে এল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির গোষ্ঠীর বিবাদ।
কীভাবে সূত্রপাত
গন্ডগোলের সূ্ত্রপাত শুক্রবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি এলাকার রাশ কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। অভিযোগ, তার জেরে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় এই একনলা বন্দুক। মিলেছে ৬টি গুলিও। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার সকালে, ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা। ক্যানিংয়ের SDPO দিবাকর দাস বলেছেন, 'বন্দুক উদ্ধার হয়েছে, ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কাদের সংঘর্ষ খতিয়ে দেখা হবে'।
আতঙ্কে স্থানীয়রা, সামনে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ
এদিকে, সংঘর্ষের পর বোমা-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police Arrest)। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মুসা শেখ এবং ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ছেলে কুতুবউদ্দিন সর্দার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দার ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দারের গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ। তাদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দলের কোন্দলের কথা স্বীকার করে নিলেও, এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।
আর কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু, এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভোটের সময় কী হবে ? প্রশ্ন তুলছে ক্যানিংয়ের সাধারণ মানুষ
আরও পড়ুন- বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা