South 24 Parganas: পুর আধিকারিককে মারধর, মামলা দায়ের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
TMC: এক তৃণমূল কাউন্সিলর এবং আরও ২ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ।
হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন খোদ পুরআধিকারিক। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ উঠেছিল। পুর আধিকারিক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এবার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার (Sonarpur Municipality) এক তৃণমূল কাউন্সিলর এবং আরও ২ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাউন্সিলরের স্বামী।
অভিযোগ ছিল, তৃণমূল কাউন্সিলরের সামনেই পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে শাসকদলের কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার নবপল্লি এলাকায়।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার দু-নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। তাঁর ওয়ার্ডে বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ পেয়ে বুধবার এলাকা পরিদর্শনে যান ওই পুরসভারই এগজিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ রায়। নবপল্লি এলাকায় তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার সময় পুর আধিকারিকের কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তাঁর অনুগামীরা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হামলা চালান বলে পুর আধিকারিকের অভিযোগ।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ:
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ রায়ে এগজিকিউটিভ অফিসার বলেছিলেন, 'যখন ছবি তুলি রামু-পার্থ এগিয়ে আসে। দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা।' এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল কাউন্সিলর। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারের অভিযোগ, 'ভিত্তিহীন অভিযোগ, অফিসারই গালিগালাজ করেন।' দুই পক্ষ একে অপরের দিকে অভিযোগ করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী দল বিজেপিও।
এরপর পুরসভার প্যাডে নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এগজিকিউটিভ অফিসার। পুরপ্রধান পল্লব দাসও ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে নরেন্দ্রপুর থানা। প্রতিক্রিয়ার জন্য তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারকে ফোন করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর স্বামীর অভিযোগ, ঘটনার দিন পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারই এলাকায় উপস্থিত লোকজনকে গালিগালাজ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। অভিযোগকারী পুর আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর অভিযান করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্য়ান।
আরও পড়ুন: ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, 'প্ররোচনা দেওয়া উচিত নয়' জবাব পর্ষদের