South 24 Parganas: ক্যানিংয়ে গৃহবধূর 'শ্লীলতাহানি', অভিযুক্তকে আটকে বেধড়ক মারধর গ্রামবাসীদের
স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় অভিযুক্ত ও তাঁর দাদাকে...
শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: মিনি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ে। এমনকী, ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মূল অভিযুক্তর দাদা ওই গৃহবধুর পরিবারকে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার দক্ষিণ অঙ্গদবেরিয়া গ্রামে। নির্যাতিতা গৃহবধূ গোটা ঘটনাটি তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও এলাকার মানুষকে জানান।
এবিষয়ে স্থানীয়রা অভিযুক্ত বাপ্পা ওরফে সুদাম নাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে ঘটনার কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয়দের দাবি, এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন বাপ্পা। গ্রামবাসীরা তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। এরপর অভিযুক্ত বাপ্পা ও তাঁর দাদা বাপি নাইয়াকে বেধড়ক মারধর করেন উত্তেজিত গ্রামবাসী।
স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় তাঁদের। পরে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে রাত দুটো নাগাদ পুলিশ গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতা গৃহবধূও রাতেই এবিষয়ে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের দাবি, এলাকায় ব্যাঙ্কের কাস্টোমার সার্ভিস পয়েন্ট পরিচালনা করেন মূল অভিযুক্ত বাপ্পা নাইয়া। সেখানেই সোমবার সন্ধ্যায় শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে ৫০০ টাকা তুলতে গেলে প্রতিবেশী গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত।
অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাপ্পার বিরুদ্ধে। এছাড়া গ্রামের আরও বেশ কিছু মহিলার সঙ্গেও এই ধরনের অসভ্যতা করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
তবে সোমবারের ঘটনায় এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গতমাসে জেলার সোনারপুর অঞ্চলে বাড়ির সামনে আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হন দম্পতি। আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদ করায় দম্পতির ওপর চড়াও হন প্রতিবেশী। স্বামীকে মারধর ও মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।