Bratya Basu: "... মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচার, কোনও ফোন বা নির্দেশ আসেনি," ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে আর কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য
Abhijit Ganguly On Bratya Basu: পাল্টা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন না এই দাবি অসত্য।

কলকাতা: দুর্নীতির জেরে চাকরি হারিয়ে, দিশেহারা হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে চলে যান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। চাকরিহারাদের মধ্য়ে যোগ্য়-অযোগ্য় কীভাবে আলাদা করা সম্ভব, সেই ফর্মুলাও বাতলেছেন তিনি। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। আর এদিন এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করলেন, শিক্ষা দফতরের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "SSC যোগ্য অযোগ্য নির্ণয় করতে পেরেছে। লিস্টও তারা সুপ্রিম কোর্টে জমাও দিয়েছে। রিভিউ পিটিশন হবে, কী কমিটি হবে এই সম্পর্কিত গোটাটাই মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে বলে দিয়েছেন। আমি খুব স্পষ্ট করে একটা কথা জানাতে চাই, আমার এতদিন প্রশাসনিক কাজ করার অভিজ্ঞতা। ২০২১ সালে আসার পরে SSC-র আর কোনও পরীক্ষা হয়নি। আমি যখন ২০১১-২০১৪ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম এবং চেয়ারম্যান ছিলেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল তখন আমি দেখেছি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে কোনও ফোন বা নির্দেশ আসেনি। এটা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার। SSC সম্পর্কে কোনও তথ্য, কোনও নির্দেশ যে কারা পরীক্ষা দিচ্ছে, কী পরীক্ষা দিচ্ছে কোনও নির্দেশ দেননি।''
পাল্টা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন না এই দাবি অসত্য। তিনি দাবি করেন, SSC-র ল ইনচার্জ থাকাকালীন তৎকালীন SSC চেয়ারম্যানের থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, "আমি SSC-র ল ইনচার্জ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। SSC-র তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করার সময় শুনেছি এটা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের থেকে এসেছে। এটা মানতে হবে। যেটা নিয়ে বৈঠক পর্যন্ত করেছি অন্য আইনজীবীদের নিয়ে।''
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কমিটি গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে আজ আমি 'দিদি' বলেই সম্বোধন করব, যেহেতু রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে বলছি। দিদি এই মুহূর্তে যেন একটি কমিটি গঠন করেন এবং কেন করবেন এটা বলছি। এই ২৬ হাজার লোকেদের, ছেলেদের বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা লিস্টটা তৈরি করে ফেলতে পারব বলে আমি আজও মনে করি। কোনও কারণে লিস্টটা হয়নি। আমি সেই রাজনীতিতেও যাব না। এই লিস্টটা তৈরি করে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আবার একটা রিভিউ পিটিশন করতে পারি যে, "হুজুর, এদেরকে ক্ষমা করুন। এদের কোনও দোষ নেই। এদের কোনও দোষ নেই। যারা দোষ করেছে, তাদের লিস্ট আমরা দিয়ে দিচ্ছি, তাদের বাদ দিন, যারা দোষ করেনি তাদের চাকরিটা থাক।" এটুকুই বলব এবং আপনাদের চ্য়ানেলের মাধ্যমে আমি এই আবেদন দিদির কাছে রাখছি।''






















