School Teacher Crisis: "নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে...আর পারছি না'' শিক্ষাকর্মী চাকরি হারানোয় বিপত্তি প্রধান শিক্ষকের
Nadia News: একটা দুর্নীতির জেরে রাতারাতি চাকরি গেছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। আর তার জেরে এখন জেলায় জেলায় সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলগুলির কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।

সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: প্রধান শিক্ষকই (SSC Case) স্কুলের তালা খুলছেন, তিনিই আবার স্কুলের ঘণ্টা বাজাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, Group D স্টাফের ভূমিকাও পালন করছেন। কারণ এই স্কুলে একমাত্র করণিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি গেছে। ঘটনাস্থল নদিয়ার রানাঘাটের রথতলা কলোনি হাইস্কুল। এহেন পরিস্থিতিতে বিপাকে প্রধান শিক্ষক।
বিপত্তি প্রধান শিক্ষকের: একটা দুর্নীতির জেরে রাতারাতি চাকরি গেছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। আর তার জেরে এখন জেলায় জেলায় সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলগুলির কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। স্কুলের তালা খুলছেন প্রধান শিক্ষক, তিনিই ঘণ্টা বাজাচ্ছেন। স্কুলের হিসেবের খাতাও প্রধান শিক্ষকই সামলাচ্ছেন। চূড়ান্ত সমস্যায় নদিয়ার রানাঘাটের রথতলা কলোনি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপকুমার ঘোষ। স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা ৪০০, শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। করণিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন একজন করে। সেই করণিক ও গ্রুপ D কর্মী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিচ্যুত হওয়ায় স্কুল চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুলের তালা খোলা থেকে শুরু করে, ঘণ্টা বাজানো, স্কুলের হিসেব সামলানোর কাজ সবই একা হাতে করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে। কী করবেন, ভেবেই পাচ্ছেন না রানাঘাটের
রথতলা কলোনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপকুমার ঘোষ বলেন, "আমার নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে...আর পারছি না। খাতা দিতে হচ্ছে ঘরে ঘরে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়...টিচার সংখ্যা ১০ জন। কীভাবে কী করব খুব অসহায় বোধ করছি।''
এদিকে SSC-র অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল, অনুমোদন ছিল রাজ্যপালের। হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই, বলল সুপ্রিম কোর্ট। চাকরিহারাদের বাঁচাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন রাজ্যের। নির্দেশ কার্যকরে প্রশাসনিক সমস্যা হচ্ছে, আগামীকাল শুনানি চেয়ে সওয়াল রাজ্যের। বিষয়টি দেখবেন বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কাছে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির কারণ জানতে চান। এরপর গত বছরের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ এ নিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। রায়ে উল্লেখ করা হয়, এটা চমকে দেওয়ার মতো যে, জালিয়াতি করে পাওয়া চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভার মতো জায়গায়। এও বলা হয়, বেআইনি চাকরি প্রাপকদের সুযোগ করে দিতে, অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন রাজ্য় সরকারের কোন ব্য়ক্তিরা, তা নিয়ে CBI আরও তদন্ত চালাবে এবং প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। কিন্তু হাইকোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য় সরকার।
গত বছরের ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে CBI-তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় আজ হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।






















