SSC Case: নেই শিক্ষক, গ্রুপ সি-ডি কর্মী, স্কুলের গেট খোলা থেকে ঘণ্টা বাজাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক! রাজ্যে বেনজির দৃশ্য
হেড মাস্টারকেই স্কুলের গেট খোলা থেকে শুরু করে ঘণ্টা বাজানোর কাজ করতে হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। রাজ্যের একাধিক সকুলে তৈরি হয়েছে হাহাকার। কোথাও শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে! অনেক জায়গায় গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি-র কাজ করার কর্মী নেই। ফলে হেড মাস্টারকেই স্কুলের গেট খোলা থেকে শুরু করে ঘণ্টা বাজানোর কাজ করতে হয়েছে।
স্কুলের গেটের তালা খুলছেন খোদ প্রধান শিক্ষক। আবার পিরিয়ড শেষে ঘণ্টাও বাজাতে হচ্ছে তাঁকেই। দুর্নীতির দায়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি যাওয়ার পর এখন রাজ্য জুড়ে বহু স্কুলেই এরকম অবস্থা। যদিও জেমুয়া ভাদুবালা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, 'আজকের দিনটা সামলে দিলাম, এটা প্রতিদিন পারব না।'
কলকাতা থেকে জেলা ছবিটা একই। দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠে ক্লাস ইলেভেন ও টুয়েলভের ৬৭ জন পড়ুয়ার কম্পিউটার সায়েন্সের টিচার ছিলেন একজনই। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যার চাকরি চলে গেছে। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে তিন জন চাকরি হারিয়েছেন। এর ফলে স্কুলে আর কোনও অশিক্ষক কর্মী থাকল না। শ্যামবাজারের দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশনে চাকরি চলে গেছে গণিতের একমাত্র শিক্ষক-সহ ২ জনের।
দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের একজন করে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরি গেছে দু'জনেরই! তারপর এদিন স্কুলে আসেননি দু'জনেই। প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক বলেন, 'স্কুল এসে আমি খুললাম। আমিই স্কুলে ঘণ্টা দিলাম। এটি হচ্ছে গ্রুপ-ডি-র কাজ। আমাদের একটিই গ্রুপ ডি আর একটিই গ্রুপ-সি ছিল। আমার দুজন টিচার HS সেকশনে। দু'জন চলে গেলে ক্লাসগুলো কে নেবে?'
এই অবস্থায় শিক্ষকদের অভাব পূরণের জন্য স্কুলে বিনা পারিশ্রমিকের পড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন অনেকেই।






















