SSC News: 'আজই জিজ্ঞাসাবাদ', হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই
‘আজ রাত ১২টার মধ্যে শেষ করতে হবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া। স্কুলে বেআইনি নিয়োগের একাধিক অভিযোগে এস পি সিংহর নির্দেশ কাজ করেছে। এমন তথ্য রয়েছে আদালতের কাছে', মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশের পরেই নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই (CBI)। হাইকোর্টে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি নিলেন সিবিআই অফিসাররা। ৯৮ জন কর্মী নিয়োগ মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা এস পি সিন্হাকে আজই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 'আজই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করুন', সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে এমনটাই বলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে বলা হয়, ‘আজ রাত ১২টার মধ্যে শেষ করতে হবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া। স্কুলে বেআইনি নিয়োগের একাধিক অভিযোগে এস পি সিংহর নির্দেশ কাজ করেছে। এমন তথ্য রয়েছে আদালতের কাছে', এ দিন এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাল ফের এই মামলার শুনানি।
স্থগিতাদেশের মেয়াদ: গত ১৫ মার্চ নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের মামলায় বেড়েছিল স্থগিতাদেশের মেয়াদ। মেয়াদ আরও দু-সপ্তাহ বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়িয়েছেিল আদালত। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “প্যানেলে নাম নেই, অথচ চাকরি পেলেন কীভাবে ?’’ হলফনামা দিয়ে জানাবেন চাকরি প্রাপকরা। আগামী পরশুর মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ। নির্দেশ বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের।
“তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন। এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত?’’ জানতে চায় আদালত। বাংলা বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য চাকরি পান জুঁই দাস, আজাদ আলি মির্জা। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন এই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগের একটি শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট প্রশ্ন করে, “নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা কোথায়? যা হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে হিমশৈলের চূড়ামাত্র! কেন নিজেরা FIR করেননি?মামলা দায়ের হওয়া অবধি ঘুমোচ্ছিলেন?’’
মামলার গতিপ্রকৃতি ও SSC’র ভূমিকা নিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেন ও অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, "একের পর এক নিয়োগ মামলায় CBI তদন্ত হচ্ছে। SSC একটা মামলাকেও মিথ্যে বা ভুল বলতে পারেনি। আপনারা কেমন কাজ করছেন? এই বোর্ডকে এখনই ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসানো উচিৎ।'' বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, “আপনাদের কাজকর্মে আমরা সন্তুষ্ট নই। সব ক্ষেত্রে ঢিলেমি। মামলা দায়ের হওয়ার পর আপনারা জাগলেন!’’ শুক্রবারের পর ফের আজ সোমবার ফের তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। সরাসরি প্রশ্ন করেন, এটা ইচ্ছাকৃত ভুল কি না? প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তা হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রাপকদের।