Suvendu on SSC Exam: '১৫২ জন দাগিকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে, এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় আছে', SSC পরীক্ষার আগে বিস্ফোরক শুভেন্দু
School Service Commission: নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রবিবার নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষা নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

কলকাতা : কাল SSC পরীক্ষা। এদিকে তার আগে ফের প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা। "ত্রুটিযুক্ত পরীক্ষা। ১৫২ জন দাগিকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় আছে" বলে অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বললেন, "১৯৫৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দাগি। সবাই জানে, আমরাও জানি, তালিকাও জানে। ১৮০৬-এর নাম ঘোষণা করেছে। ১৫২ জন দাগিকে পরীক্ষায় বসাচ্ছে। ত্রুটিযুক্ত পরীক্ষা। প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। প্রশ্ন বিক্রি হচ্ছে এবং কালকেও সেন্টার প্রতি অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের লোকেরা সঙ্গে পুলিশকে নিয়ে ৯ বছর পরে একটি প্রহসনের পরীক্ষা করতে চলেছে। এর ফল অশ্বডিম্ব হবে। তাড়ান মমতাকে, একটাই স্লোগান। প্রতি বছর SSC হবে, প্রতি বছর প্রাইমারি হবে। ওএমআর শিটে পরীক্ষা হবে। ওএমআর পদ্ধতি চালু হবে। কার্বন কপি বাড়ি নিয়ে আসবেন। আনুন বিজেপিকে। "
শুভেন্দুর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "রাজ্য সরকার এবং এসএসসির সর্বরকম প্রস্তুতির পরে পরীক্ষা হচ্ছে। সেটাকে ভেস্তে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র নানাভাবে হচ্ছে। এটা অতি নিম্নশ্রেণির রাজনীতি যে, সকলের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া। এসএসসি-র যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি বলেছেন, কোনওভাবেই প্রশ্নপত্র বেরোয়নি। শুভেন্দু অধিকারী কোনও প্রমাণও দিতে পারেননি। আজ আবার নতুন অভিযোগ এনেছেন। সেই অভিযোগটিও মিথ্যা। মিথ্যা কথা বলার একটা বিশেষ ক্ষমতা যে শুভেন্দু অধিকারীর আছে, বহুবার মিথ্যা কথা বলে মানুষের মনে সংশয় তৈরির চেষ্টা...।"
নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রবিবার নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষা নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২৩ হাজার ২১২টি শূন্যপদের জন্য পরীক্ষায় বসতে চলেছেন, যোগ্য চাকরিহারাদের পাশাপাশি নতুন পরীক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ১৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী। যদিও, পরীক্ষার আগে শেষবেলাতেও 'দাগি'দের প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেননি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্য়ান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
দিনরাত এক করে খেটে, পড়াশোনা করে চাকরি পেয়েছিলেন। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। চলে গেছে হকের চাকরি। প্রতিবাদে নেমে খেতে হয়েছে লাথি, লাঠি। করতে হয়েছে অনশন। জাগতে হয়েছে রাত। কিন্তু তারপরও চাকরিহারাদের দাবি মেনে যোগ্যদের তালিকা দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়ে গেছে রিভিউ পিটিশন। সেই চাকরি ফিরে পেতে, ফের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে রবিবার পরীক্ষায় বসবেন 'যোগ্য' চাকরিহারারা। প্রায় ৯ বছর পর রবিবার ফের শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।





















