SSC Group C Case : "লিখিত পরীক্ষায় পাস না করা ২২২ জনকে SSC-র অফিস থেকেই সুপারিশপত্র", উল্লেখ রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে
Ranjit Bag Committee Submits Report : রিপোর্টে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। সূত্রের খবর, ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোনও প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে ছিল না
কলকাতা : SSC-র গ্রুপ C নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা পড়ল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির (Ranjit Bag Committee) রিপোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোনও প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে ছিল না। এঁরা পার্সোনালিটি টেস্টে অংশ গ্রহণ করেননি। কারণ এঁরা কেউ লিখিত পরীক্ষায় পাস করেননি। SSC-র অফিস থেকেই স্ক্যান করা সই করে এই সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।
কী রয়েছে রিপোর্টে ?
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শান্তিপ্রসাদ সিনহা ভুয়ো সুপারিশপত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিতেন। তারপর কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে দিয়ে নিয়োগপত্র তৈরি করতেন। সেইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে যে উপদেষ্টা কমিটি হয়েছিল, তা বেআইনি বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
২০১৬ সালে রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে SSC-র মাধ্যমে গ্রুপ C কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১৮ মে সংশ্লিষ্ট প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগ, যোগ্যদের তুলনায় অযোগ্যরা চাকরি পাওয়ার মতো একাধিক অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই বেঞ্চেই আজ মামলার শুনানি হল।
আগামী ১৮ মে এই মামলার রায়দান। এদিকে, দুর্নীতি রোধে শিক্ষক নিয়োগ বিধিতে (Teacher Recriutment Rule) বদল আনছে এসএসসি (SSC)। জানা যাচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগে এ বার পরীক্ষা শুধু ওএমআর শিটে (OMR Sheet) হবে। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগে ফিরিয়ে আনা হবে ইন্টারভিউ (Interview)। সূত্রের খবর, কমিশনের এই নিয়োগ বিধিতে বদলের প্রস্তাব যাচ্ছে সরকারের কাছে।