SSC Case : 'প্রথম থেকেই অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন' মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনেই চটে লাল চাকরিহারাদের একাংশ
কবে কী সমাধান হবে, ধৈর্য রাখতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের দু চোখে শুধুই অন্ধকার ! গলায় মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ।

রাতারাতি চাকরি খুইয়ে ফুঁসছেন বহু মানুষ । মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসবাণী তাদের ভরসা দিতে পারেনি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসলেও, সেই সভায় যোগ দেননি একটা বড় অংশ। চাকরিহারাদের একাংশের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর গাফিলতিতেই, যোগ্য হয়েও অনিশ্চয়তার মধ্য়ে পড়তে হয়েছে তাঁদের। কেউ বলছেন, 'এই চাকরিটা না থাকলে আমার জীবনটা কী হবে, আমি ভাবতেই পারছি না।' কেউ সরাসরি আঙুল তুলছেন রাজ্য সরকারের দিকে। বলছেন, 'উনি চাইলে যে কোনও সময় যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারতেন। উনি করেননি বলেই আজকে আমাদের বলি হতে হয়েছে।' অযোগ্যদের জন্য আজ রাস্তায় যোগ্যরাও। তাই কবে কী সমাধান হবে, ধৈর্য রাখতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের দু চোখে শুধুই অন্ধকার ! গলায় মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ।
'ওঁর সঙ্গে আলোচনায় কী বসব?'
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অংশ নেওয়া একাধিক চাকরিহারা এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন! তবে এই বৈঠকে অংশ নেননি কিংবা নিতে পারেননি এরকমও বহু চাকরিহারা শিক্ষক রয়েছেন! 'আমি আমার বাড়ির একমাত্র রোজগেরে। এই চাকরিটা না থাকলে আমার জীবনটা কী হবে, আমি ভাবতেই পারছি না।' বলছেন এক চাকরিহারা। আরেক চাকরিহারা শিক্ষক দীপনাথ মণ্ডল প্রশ্ন তুলেছেন,'যোগ্যদের লিস্ট বারবার বলা সত্ত্বেও ওঁরা জমা দেননি। যার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ফাইনাল রায়ে আমাদের প্যানেল ক্যানসেল হয়েছে। রাজ্য সরকার ও SSC-র ব্যর্থতার জন্যই আমাদের পুরো প্যানেল ক্যানসেল হয়ে গেল। আমরা যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছিলাম। আমরা তো আর সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পাইনি। ব্যক্তিগত কারণে আমি ওখানে উপস্থিত হতে পারিনি। ওঁর সঙ্গে আলোচনায় কী বসব?'
' উনি করেননি বলেই আজকে আমাদের বলি হতে হয়েছে'
প্রায় একই সুর শোনা গেল সদ্য চাকরিহারা বাঁকুড়ার ওন্দা পাথরহাটি সকুলের বাংলার শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা দুয়ারির মুখেও। 'আজকে আমার মায়ের MRI-এর ব্যাপার ছিল। সেই কারণে যাইনি। আর সত্যি কথা বলতে আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল না। আজকে আমাদের এই যে বঞ্চিত হওয়া, পুরোপুরি দায় কিন্তু রাজ্য সরকারেরই। উনি চাইলে যে কোনও সময় যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারতেন। উনি করেননি বলেই আজকে আমাদের বলি হতে হয়েছে।'
রাতারাতি চাকরি খুইয়ে ফুঁসছেন জলপাইগুড়ির ধুপগুরি হাইস্কুলের শিক্ষক দেবপ্রিয় সাহাও। 'উনি সবসময়, প্রথম থেকেই অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন, তার জন্যই আমাদের বলি দেওয়া হল।',বলছেন দেবপ্রিয়।
এছাড়া সোমবারের বৈঠকে যোগ দিতে এসে রবিবার প্রায় গোটা রাত ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হয়েছে চাকরিহারাদের একাংশ ও তাঁদের আত্মীয়দের। হয়ত চাকরি হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষক। তাই তাঁর হয়ে বৈঠকে যোগ দিতে আসেন চাকরিহারার অভিভাবক।





















