Recruitment Scam:'..তাঁদের চাকরি থাকার প্রশ্নই নেই' SSC নিয়োগ মামলায় 'কাদেরকে' নিয়ে বার্তা বিশেষ বেঞ্চের ?
HC SSC Recruitment Scam: সিবিআই যা বলছে সেটা ঠিক নয়, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে' কম্পিউটার কোথায় গেল? বিশেষ বেঞ্চে সওয়াল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কলকাতা: 'প্যানেলের মেয়াদ পেরোনোর পরে যাদের চাকরি, তাঁদের চাকরি থাকার প্রশ্নই নেই',এসএসসি নিয়োগ মামলার (SSC Recruitment Scam) চূড়ান্ত শুনানিতে জানিয়ে দিল বিশেষ বেঞ্চ।
'কোনও কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়নি, শুধু হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাজিয়াবাদে নাইসার অফিস থেকে কোনও হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়নি। হার্ড ডিস্ক মিলেছে সংস্থার প্রাক্তন ১ আধিকারিকের বাড়ি থেকে। সিবিআই যা বলছে সেটা ঠিক নয়, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে' কম্পিউটার কোথায় গেল? বিশেষ বেঞ্চে সওয়াল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আপনি কি এসএসসির ডেটাবেস নিয়ে সন্দেহ করছেন? কল্যাণকে প্রশ্ন বিচারপতির। আমি সিবিআইয়ের নথি, তথ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি, বলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপরদিকে, 'মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, আর আদালত হস্তক্ষেপ করলেই এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়!', এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Recruitment Scam) চূড়ান্ত শুনানিতে গতকাল বিস্ময়প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক (Justice Debanshu Basak)। 'তদন্ত বিলম্বিত করার জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। মেধাতালিকা যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য অসদুপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন', আদালতে সওয়াল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর।
'যিনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তিনি জানেন মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে। মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ পেলে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে?', প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।'মেধাতালিকা প্রকাশ পেলেই তো সবাই সবার নম্বর দেখতে পাবেন, সত্যিটা সামনে চলে আসবে, তাই এত অসুবিধা। ঘোষিত শূন্যপদের থেকে বেশি চাকরি দেওয়া হয়েছে, বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত শূন্য পদের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি হয়েছে। মূল অফিস থেকে না দিয়ে অন্য অফিস থেকে ভুয়ো সুপারিশপত্র দিয়ে সুপরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে', সংরক্ষিত আসন নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে, আদালতে সওয়াল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর।
আরও পড়ুন, 'ওরা সবচেয়ে বড় চোর', BJP-কে নিশানা মমতার
প্রসঙ্গত, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে, OMR শিটে কারচুপির অভিযোগ বারবার উঠেছে। SSC-র নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেমন নাম জড়িয়েছিল OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা-র (NYSA)। গ্রেফতার হয়েছিলেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জালে OMR ডেটা প্রসেসিং সংস্থার প্রোগ্রামারও। নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর পার্থ সেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার ছিলেন পার্থ সেন। আগেও একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।