SSKM Hospital Fire: উপরের তলাতেই রোগী, মই বেয়ে উঠে ভাঙা হচ্ছে জানলার কাচ, SSKM-এ দমকলের ৯ ইঞ্জিন
Fire in SSKM Hospital: নিউ ক্যাজুয়াল্টি ব্লক থেকে ৩০-৩৫ জন রোগীকে ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ড এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কলকাতা: রাতের শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। যে সে জায়গায় নয়, শহরের মূল চিকিৎসা কেন্দ্র, এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (SSKM Hospital Fire)। জরুরি বিভাগের দোতলার বিল্ডিংয়ের ভিতরে আগুন ধরেছে। গল গল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে আকাশ। কিন্তু আগুনের উৎসস্থলে এখনও পৌঁছতে পারেননি দমকল কর্মীরা। মই দিয়ে দোতলার উপরে ওঠার চেষ্টা চলছে। ভাঙা হচ্ছে জানলার কাচ। সেখান দিয়ে জল ছড়িয়ে আগুন নেভানোর পরিকল্পনা (Kolkata News)।
রাতের শহরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। তাই জানলার কাচ ভেঙে আগুন অ্যারেস্ট করার চেষ্টা চলছে, যাতে করিডর হয়ে অন্যত্র আগুন ছড়াতে না পারে। যেখানে আগুন লেগেছে, তার ঠিক উপরেই রোগীদের ওয়ার্ড রয়েছে। তাই আগুন যাতে কোনও ভাবে সেখানে পৌঁছতে না পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফার্স্ট ফ্লোরে নিউ ক্যাজুয়াল্টি ব্লকে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যেহেতু ধোঁয়া বেরোচ্ছে, তাই রোগীদের নিরাপত্তার কারমে নিউ ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক বিভ্রাটে সিটি স্ক্যান মেশিন এবং তার যন্ত্রাংশ থেকেই আগুনের উৎপত্তি বলে জানা গিয়েছে। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যেখানে আগুন লেগেছে, সেটি হল, এসএসকেএম-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দোতলায় অবস্থিত। সেখানে সিটি স্ক্যান হয়। বেশ কিছু ল্যাবরেটরিও রয়েছে। বিল্ডিংয়ের ভিতরে আগুন ধরেছে। যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে একাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে। ফলে আগুন সেখান থেকে ছড়িয়েছে কিনা, বা তার কারণে আগুন আরও ছড়াতে পারে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তবে এই মুহূর্তে ধোঁয়া বেড়ে চলেছে অনর্গল। দমকলের নয়টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। যেখানে আগুন লেগেছে, তার উপরের তলায় রোগীদের ওয়ার্ড রয়েছে। তাই আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, তাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দমকলের ৯টি ইঞ্জিন পৌঁছয় আগুন নেভাতে
হাসপাতালের এক কর্মী জানিয়েছেন, আমরা ভিতরে ছিলাম। রিপোর্টিং রুমে গিয়ে দেখি কালো ধোঁয়া। দাউদাউ করে আগুন দেখলাম। নিজেরা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এত দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, যে নেভাতে পারিনি। বরং বেড়ে যাচ্ছিল। তাতে সবাই বেরিয়ে আসি।"