DA Agitation: 'শিল্পের নামে মোচ্ছব..', BGBS-র দ্বিতীয় দিনে বিস্ফোরক রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ
DA Agitation 300 Days: DA-র দাবিতে আন্দোলনের ৩০০ দিন , কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ।
কলকাতা: DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন আজ ৩০০ দিনে পড়ল। এদিকে, রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আজ দ্বিতীয়দিন। যদিও বিনিয়োগের যত বড় প্রস্তাবই আসুক না কেন, আদতে তা কতটা ফলপ্রসু হয়েছে ? কর্মসংস্থান হয়েছে কতজনের ? এসব প্রশ্ন আগেও তুলেছে বিরোধীরা। আর আজ সেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শেষ দিনে তীব্র প্রতিবাদ ডিএ আন্দোলনকারীদের।
মূলত, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। পেন ডাউন কর্মসূচি, মিছিল, নানা ভাবে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন DA-আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে DA-মামলা। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এদিন DA আন্দোলনকারীদের হাতে দেখা গেল একাধিক প্ল্যাকার্ড। কারও প্ল্যাকার্ডে লেখা,' হকের ডিএ চাইতে গিয়ে পার হয়ে যায় ৩০০ দিন, শিল্পের নামে করের টাকায় মোচ্ছব করে বিবেকহীন।' কেউ আবার লিখেছেন, ৬ লক্ষ শূন্যপদ আর বকেয়া ডিএ তোমার দান। কোন মুখেতে বলছো তুমি, করবে কর্ম সংস্থান।
রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসংস্থানকে প্রধান লক্ষ্য বলেছিলেন। তবে রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগের যত বড় প্রস্তাবই আসুক না কেন, আদতে তা কতটা ফলপ্রসু হয়েছে ? কর্মসংস্থান হয়েছে কতজনের ? এসব প্রশ্ন আগেও তুলেছে বিরোধীরা। সঙ্গে এগারো সালের পর 'শিল্প দূরীকরণ' বলে তীব্র কটাক্ষ তো উপরিপাওনা ছিলই। আর তা আরও বেড়ে গিয়েছিল টাটা ইস্যুতে। তবে দেখতে দেখতে অনেকগুলি বছর পার। বছর পেরোলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS)। আজ দ্বিতীয় এবং শেষ দিন। সেই আবহেই লগ্নি নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
আরও পড়ুন, 'আমাদের ছেলেরা বিশ্বকাপ জিতে যেত..', নাম না করে মোদিকে নিশানা রাহুলের
মূলত এক্স হ্যান্ডলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু প্রশ্ন তুলেছেন, 'এতদিনে কত লগ্নি হয়েছে, কত কর্মসংস্থান হয়েছে, সেই সমস্ত তথ্য কি সামনে আনবে রাজ্য সরকার?' পাল্টা বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বাংলায় শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সূচনা। আর রাজ্য সরকারের এই মেগা ইভেন্ট শুরুর আগে রাজনীতিও শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে।বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের গত ৬টি পর্বে কত লগ্নি এসেছে? বিনিয়োগের প্রস্তাব কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে? কর্মসংস্থানই বা কত হয়েছে? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলে,সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে বিরোধীরা।