Sukanta On Mamata: লক্ষ্মীপুজোর দিন জোড়া হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী বাংলা, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : সুকান্ত
Sukanta Attacks Mamata on Krishna Nagar And Purulia Murder Case: লক্ষ্মীপুজোর দিন কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়ায় দুই তরুণীর দেহ উদ্ধার, কী প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদারের ?
কলকাতা: কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়ায় দুই তরুণীর দেহ উদ্ধার, মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি সুকান্তর। এদিন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'লক্ষ্মীপুজোর দিন জোড়া হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী বাংলা। রেড রোডের কার্নিভালে নাচতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। যে মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের রক্ষা করতে পারেন না। তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত, পোস্ট সুকান্ত মজুমদারের।
মূলত আজ লক্ষ্মীপুজোর দিনেই মর্মান্তিক দুটি ঘটনার সাক্ষী হল বাংলা। কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের সামনে, পুলিশ সুপারের অফিসের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধদগ্ধ, বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে আজ সকালে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাতঃভ্রমণকারীরাই প্রথমে ওই তরুণীর অর্ধদগ্ধ ও বিবস্ত্র দেহ রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দাবি, তরুণীকে অন্যত্র খুন করে প্রমাণ লোপাট করতেই দেহ এখানে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলেছে নিহত তরুণীর পরিবার। তাদের দাবি, গতকাল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ১৮ বছরের তরুণী। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমিকই তাকে খুন করেছে পরিবারের দাবি। আজ সকালে এলাকায় পুজো মণ্ডপের সামনে রাস্তায় পড়েছিল তরুণীর অর্ধদগ্ধ, বিবস্ত্র দেহ। স্থানীয়দের দাবি, তরুণীকে অন্যত্র খুন করে প্রমাণ লোপাট করতেই দেহ এখানে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আর জি কর-কাণ্ডের মতোই এই ঘটনা, দাবি তরুণীর পরিবারের।
আরও পড়ুন, জ্বরে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু, মালদা মেডিক্যালে রেফার, মাশুল দিতে হল চিকিৎসককে !
অপরদিকে, পুরুলিয়ার বরাবাজারে নদীর চর থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নদীর চরে পোঁতা ছিল যুবতীর দেহ। স্থানীয়রা দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবতীর পরিচয় মেলেনি। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার গৃহবধূকে ধর্ষণ খুনের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের গাড়ি চালক । গ্রেফতার হন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা ও মৃতার স্বামী।আর জি কর মেডিক্য়ালে চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার।সেই আবহেই এবার গৃহবধূকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের গাড়ি চালক।মৃতার ওপর চাপ সৃষ্টি করা সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্ত্রীকে, যিনি তৃণমূল পরিচালিত প়ঞ্চায়েতের সদস্য়া। আবার মৃতার দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন মৃতার স্বামীও। ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।