Suvendu On Shantiniketan : ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় শান্তিনিকেতন, আবেগপ্রবণ পোস্ট শুভেন্দুর
UNESCO World Heritage List : 'যেদিন এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি ইউনেস্কো করল, সেই দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও বিশেষ, কারণ এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন' লিখলেন শুভেন্দু
কলকাতা : ইউনেস্কোর ( UNESCO ) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে শান্তিনিকেতন ( Shantiniketan ) । ২০২১-এর ডিসেম্বরে কলকাতার দুর্গাপুজোকে Intangible Cultural Heritage'এর স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক, শান্তিনিকেতনের মুকুটে যুক্ত হল নতুন স্বীকৃতির পালক , ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেল শান্তিনিকেতন। এই খবর পেতেই, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানান। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আনন্দ ভাগ করে নেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লেখেন, শান্তিনিকেতনকে (s Gurudev Rabindranath Tagore's Santiniketan) ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়া নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের মুহূর্ত।রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই ঘোষণা করে ইউনেস্কো। আর তারপরই তা নিয়ে এক্স-প্ল্যাটফর্মে লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে স্থান দেওয়া অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের মুহূর্ত।
তিনি আরও লেখেন, রবীন্দ্রনাথ "বিশ্বভারতী"র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে । জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে । শুভেন্দু আরও লেখেন কী আশ্বর্য সমাপতন, ভারত যখন "এক বিশ্ব, একটি পরিবার এবং একটি ভবিষ্যত" এর আদর্শের পথ দেখাচ্ছে, ঠিক সেই সময় ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে এই স্বীকৃতি দিল।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বিশ্বের দরবারে এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর পরিশ্রম করেছে। ২০২১ সালে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা একটি নতুন ডসিয়ার ( dossier) তৈরি করা হয়েছিল, যা জমা দেওয়া হয়েছিল ইউনেস্কোর কাছে। এছাড়াও, যেদিন এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি ইউনেস্কো করল, সেই দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও বিশেষ, কারণ এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন।
এই খবর পেতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে যে শান্তিনিকেতন, সেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ায় আনন্দিত। এটা সমগ্র দেশবাসীর কাছে গর্বের।
২০১০ সালে বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকা ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর, UNESCO-এর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। সৌদি আরবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে UNESCO সমাবেশ। সেখান মঞ্চ থেকেই এদিন রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমা দিল UNESCO. ২০২১-এর ডিসেম্বরে কলকাতার দুর্গাপুজোকে Intangible Cultural Heritage'এর স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। আর এবার শান্তিনিকেতনকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো।