(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Suvendu Adhikari : 'আমাদের এখানে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শাসকদলকে আক্রমণ শুভেন্দুর
বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ডাকা হয় না। যথা সময় পুরসভা নির্বাচন হয় না, প্রশাসক বসিয়ে চলছে। '
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : বিধানসভায় সংবিধান দিবস ( Constitution Day )উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শাসক দলকে নিশানা শুভেন্দুর। ‘সংবিধানে লেখা, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল’। আমাদের এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’। ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। নির্ধারিত দিনের আগেই শুক্রবার বিশেষ এই দিন পালিত হল বিধানসভায় ( West Bengal Assembly )। আর এখান থেকেই ফের একবার শাসকদলকে বাক্যবাণে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) বলেন, ‘ভোটের সময় আমরা আমাদের রাজনীতি করব। কিন্তু বাকি সময় সংবিধান অনুযায়ী চলব। বিধানসভা থেকে এটাই শপথ নেওয়া উচিত’। ফের একবার তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ডাকা হয় না। যথা সময় পুরসভা নির্বাচন হয় না, প্রশাসক বসিয়ে চলছে। ' শুভেন্দুর বক্তব্যে আসে কলেজ রাজনীতি প্রসঙ্গও।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না’। ভোটের সময় আমরা দেখলাম প্রয়াত দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের ভোটও পড়ে গেছে। সংবিধানের পক্ষে এটা ভয়ঙ্কর’ । বিধানসভায় মন্তব্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
আরও পড়ুন: TET: জারি একাধিক বিধি, নবান্ন ঠিক করল এই পথেই সুষ্ঠভাবে হবে টেট
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নেতা-মন্ত্রীরা পার্টি কর্মীদের তাতাতে দিচ্ছেন নানারকম ভোকাল টনিক। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কী করে এদেরকে হারাতে হয় আমি জানি। আমি যেভাবে কোম্পানির মালিককে হারিয়েছি, আপনারাও পারবেন। প্রতি বুথে আমার ৫০টা লোক দরকার। ৩০ জন যুবক ও ২০ জন মহিলা। মহিলারা হবেন মা ভবানী আর পুরুষরা হবেন স্বামী বিবেকানন্দর শিষ্য। 'পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা তোপ দেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন তিনি বলেন, "নন্দীগ্রাম কেন, পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর ধস চলছে। লোক চলে যাচ্ছে। আদি বিজেপিরা ওঁকে মানে না। পরিষ্কার বলছি, এঁদের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল। সিবিআই-ইডি (CBI-ED) থেকে বাঁচতেই আমাদের উপর ছরি ঘোরাচ্ছে। ওঁকে কেউ মানছে না। হীনমন্যতায় ভুগছে। গতকাল খেজুরিতে (Khejuri) ৩০০-৪০০ লোকের সভা করেছে। খেজুরিতে আমাদের ১০ হাজার লোকের সভা হয়েছে। সবাই দেখেছে। বুথে লোক চাই। কর্মী তো ওদের নেই। লোক দরকারের কথা বললে কুমোরটুলিতে অর্ডার দিক।''
View this post on Instagram