Suvendu Adhikari: '..জড়িয়ে যাবেন ফিরহাদ', রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে কেন বললেন শুভেন্দু ?
Suvendu On Firhad Ration Corruption:মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, নাম টানলেন ফিরহাদেরও, কিন্তু কেন ?
কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam Case) ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান (Arrested Businessman Bakibur Rahman)। টানা ৩দিন, ৫৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও ১১ ঘণ্টা জেরার পর বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। বাকিবুর রহমানকে ১২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন,'..জড়িয়ে যাবেন ফিরহাদ।' কিন্তু কেন ? নিজেই এর বিশ্লেষণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
'..জড়িয়ে যাবেন ফিরহাদ'
ইডি-র দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকার অঙ্ক চোখ কপালে ওঠার মতো। রেশনের চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করে, সেই টাকা সরাতে একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন বাকিবুর। এখনও পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির হদিশ মিলেছে, খবর ইডি সূত্রে। এই সব কোম্পানি মিলিয়ে রেশন দুর্নীতিতে টাকার অঙ্ক ৫০ কোটি ৫০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৫০ টাকা। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে বলে মনে করছে ইডি। আর এহেন আবহেই এদিন শাসকদলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'বাকিবুর তো সরকারের লোক। ওকে তিনটি প্লট দিয়েছে হিডকো। জড়িয়ে যাবেন ফিরহাদ হাকিম।'
ED-র স্ক্যানারে কারা ?
প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে FIR দায়ের করেছিল ইডি। সেই মামলায় কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মোট ১২টি জায়গায় হানা দেয় ED। যার অন্যতম ছিল কৈখালিতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট। পাশাপাশি বাগুইআটির দশদ্রোণ এলাকায় বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক দাসের ঠিকানাতেও হানা দেয় ED। ইডি সূত্রে দাবি, দুটি জায়গা থেকেই প্রচুর পরিমাণে নথি, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এমনকি লুকিয়ে রাখা কয়েকটি মোবাইলও উদ্ধার করেছেন অফিসাররা।
এত টাকা বাকিবুরের কাছে এল কোথা থেকে ?
বাকিবুরের শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। ইডি সূত্রে দাবি, সমন জারি করে চলে এলে, বাকিবুর নাও আসতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকেই এদিন সমন জারি করে ইডির গাড়িতে বসিয়েই ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।ইডি সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। রাজ্যের এক মন্ত্রীর ডান হাত হিসেবেই লোকে বাকিবুরকে চেনে। হোটেল, পানশালা, রেস্তোরাঁ ছাড়াও ৩ টি চালকলের মালিক তিনি। এখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, এত টাকা বাকিবুরের কাছে এল কোথা থেকে ? বিপুল এই টাকার সঙ্গে কি কোনও দুর্নীতির যোগ রয়েছে ? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে ইডি।
আরও পড়ুন, গুজরাতে কাজ করতে গিয়ে 'গণপিটুনি', বাংলার ২ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করেছিলেন তিনি। নাম না করে তোপ দাগেন 'ভাইপোকেও।' শুভেন্দু বলেন, 'চালকলের মালিক বাকিবুর রহমানকে তুলে নিয়ে গেছে। যাঁর টাকা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর কাছে যেত, পরে তাঁর মাধ্যমে পৌঁছত ভাইপোর কাছে।'