Tapan Dutta Murder Case: 'পুজোয় বড় উপহার, অরূপ রায়ের চক্রান্তেই খুন' আদালতের নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়া তপন দত্তের স্ত্রীর
স্ত্রী অভিযোগ করেন, এলাকার জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় প্রোমোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তপন দত্তকে খুন করা হয়েছে ৷
কলকাতা : বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ রাজ্য ও অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েনের আবেদন। এই নির্দেশে পুজোর আগে খুশি ঝরে পড়ল নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্তের গলায় । তিনি বলেন, ' আস্থা ছিল জিতব। পুজোর সময় বড় উপহার। অরূপ রায়ের চক্রান্তেই খুন। ' প্রতিক্রিয়া নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্তের।
অরূপের প্রতিক্রিয়া
আগের মতোই প্রতিমা দত্তের অভিযোগ ওড়ালেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। বলেন, 'উনি ভাল থাকুন। এই ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। '
গুলিতে ঝাঁঝরা হন তপন দত্ত
২০১১ সালের ৬ মে নিশ্চিন্দা রেলগেটের কাছে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বালির তৃণমূল নেতা ও পরিবেশকর্মী তপন দত্তকে। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, এলাকার জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় প্রোমোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তপন দত্তকে খুন করা হয়েছে ৷
স্ত্রীয়ের অভিযোগ কী
অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে৷ ২০১১ সালের অগাস্ট মাসে CID’র পেশ করা প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল অরূপ রায়-সহ ১৩ জন তৃণমূল নেতার৷ কিন্তু, সেপ্টেম্বরে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে CID৷ সেখানে কোনও কারণ না দেখিয়েই অরূপ রায়-সহ ৮ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়৷ এরপর, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত বাকি ৫ জনকে বেকসুর খালাস করে হাওড়া আদালত।
এরপর ১১ বছর পর গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য ও অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন।
এর আগে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা পর্যবেক্ষণে জানান, সিআইডি আসল অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ, তারা ওপর ওপর তদন্ত করেছে। তাই সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখতে তদন্তকারী সংস্থা বদলানো প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, যার ফলে মামলা ভুলপথে চালিত হয়। সিঙ্গল বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে এও জানায়, যাঁরা বিপুল অর্থ এবং রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন তাঁদের মাঝে তপন দত্ত হয়তো বাধা সৃষ্টি করেছিলেন। এই ব্যক্তিরা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং ভাল যোগাযোগ রয়েছে। একটা স্বচ্ছ এবং কার্যকরী তদন্ত হয়তো প্রকৃতপক্ষে একটা পোকাভর্তি পাত্রের মুখ খুলে দিতে পারে, অথবা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির ভূমিকা প্রকাশ করতে পারে। তপন দত্ত হত্যা মামলায় পর্যবেক্ষণে জানায় সিঙ্গল বেঞ্চ।