West Midnapore News: ৫ জন পড়ুয়ার ৩ জন শিক্ষক, আরও নিয়োগ কেন? বিতর্কে মেদিনীপুরের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র
Teacher Recruitment Controversy: খাতায়-কলমে পড়ুয়া-সংখ্যা ৫, তাদের জন্য ৩ জন শিক্ষিকা আগে থেকেই রয়েছেন। অভিযোগ, তার পরও আরও ১ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর: খাতায়-কলমে পড়ুয়া-সংখ্যা (student) ৫ (5), তাদের জন্য ৩ জন শিক্ষিকা (teachers) আগে থেকেই রয়েছেন। অভিযোগ, তার পরও আরও ১ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া (recruitment process) শুরু হয়েছে। এমন কেন, (purpose) প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি (BJP)। শূন্যপদ রয়েছে, তাই নিয়োগ। দাবি স্থানীয় কাউন্সিলারের (councillor)। তবে ঘটনা ঘিরে শিরোনামে মেদিনীপুর (Midnapore City) শহরের শহীদ ক্ষুদিরাম শিশু শিক্ষা কেন্দ্র।
কেন হইচই?
মেদিনীপুর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের হবিবপুরে শহীদ ক্ষুদিরাম শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের অনলাইন পোর্টালে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে সেখানে মোটে পাঁচ জন পড়ুয়ার নাম রয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, কদিন আগেও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ২০। তবে আপাতত ৫ জনেরই নাম রয়েছে পোর্টালে। এদের জন্য বর্তমানে ৩ জন শিক্ষিকাও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শিপ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকা চলতি মাসেই অবসর নেবেন। আর তার মধ্যে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য আরও ১ জনকে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের দাবি, এখন মাত্র ২ জন পড়ুয়া এই কেন্দ্রে লেখাপড়া করতে আসে। এক জন শিক্ষিকা অবসর নিলেও তাদের জন্য ২ শিক্ষিকা থাকবেন। এই অবস্থায় আরও নিয়োগের কী প্রয়োজন? বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মাঝে এই ধরনের ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কুহেলি দত্ত। পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রশাসনও।
কী ব্যাখ্যা?
মেদিনীপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী বললেন, 'ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে এখন ৩ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ১ শিক্ষিকা মারা যান। পড়ুয়া কম থাকুক বা বেশি, সেটা বড় বিষয় নয়... কিন্তু আমরা সব সময় চাইছি যারা স্কুলছুট, যারা সরকারি স্কুলে যেতে পারছে না,তাদের এই জায়গায় নিয়ে এসে পঠন পাঠানের সুযোগ সুবিধা করে দিতে। তা হলে আমাদের বাংলার উন্নতি হবে।...আমরা নিয়ম নীতি মেনেই করছি।' মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরাও জানান, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বা আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি নির্দেশিকা মেনেই হয়েছে। যদিও কুহেলি দত্তের বক্তব্য, 'আর শিক্ষিকার প্রয়োজন নেই। যদি এটা উনি করতে চান,তা হলে আমাদের ভাবতে হবে যে এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য আছে বা কোনও স্বার্থ কাজ করছে। ...এক্ষেত্রে আমরা বলব যে জন সাধারণের টাকা নয়ছয় হচ্ছে এবং আগামী দিনে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।' জেলা তৃণমূল সভাপতির পাল্টা, 'বিজেপি চায় না যে কোথাও কর্মসংস্থান হোক। আর কর্মসংস্থানের মানসিকতাও নেই, ইচ্ছাও নেই।'
সব মিলিয়ে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে ফের জোরাল রাজনৈতিক তরজা মেদিনীপুর শহরে।
আরও পড়ুন:'তৃণমূল উপ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই হামলা', ক্যানিংকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য