TET 2016 : ২০১৬ য় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই প্রাইমারিতে নিয়োগ, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
TET 2016 Test : ২১ ফেব্রুয়ারি রুদ্ধদ্বার কক্ষে ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রকাশ্য়ে এসেছে সেই প্রশ্নোত্তর পর্বের লিখিত প্রতিলিপি।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে ( Recruitment Scam) আবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। '২০১৪-র টেটের ( TET 2014 ) ভিত্তিতে ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ( Aptitude Test ) হয়নি' এমন তথ্যই এল প্রকাশ্যে ।
২১ ফেব্রুয়ারি রুদ্ধদ্বার কক্ষে ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ( Interviewer ) জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রকাশ্য়ে এসেছে সেই প্রশ্নোত্তর পর্বের লিখিত প্রতিলিপি। 'অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি' বলে জানা যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ( Justice Abhijit Gangopadhyay ) কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন ইন্টারভিউয়াররা।
প্রশ্নোত্তর পর্বের লিখিত প্রতিলিপি অনুসারে , 'সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্টারভিউয়ার জানিয়েছেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ( Aptitude Test ) নেওয়ার কোনও নির্দেশ ছিল না' প্রশ্নোত্তর পর্বের লিখিত প্রতিলিপিতে উল্লেখ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির কথা। ' ২০১৬'র প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। ইন্টারভিউ আর অ্যাপটিটিউড টেস্টকে একসঙ্গে করে একটা গড় নম্বর দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদের হলফনামাতেই এটা স্পষ্ট। ' প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার এমনই মন্তব্য় করেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৪-র টেটের প্রেক্ষিতে, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদ- এই ৫ জেলায় যাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের বেশ কয়েকজনকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়। এই হাজিরায় তাঁরা যা বলেন তাই শুক্রবার এল প্রকাশ্যে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের যাতায়াতের ভাড়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বহন করতে হবে , মাথা পিছু ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরই প্রেক্ষিতে, এদিন পর্ষদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁরা যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২হাজার টাকা পাবেন,আবার যাঁরা হাওড়া - হুগলি থেকে আসবেন, তাঁরাও ২হাজার টাকা পাবেন ? এটা কী করে হয়? কেউ যদি বিমানের প্রথম শ্রেণির ভাড়া দাবি করেন, তখন পর্ষদ কী করবে? তখন বিচারপতি জানান, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জনপ্রতি দিতে হবে ২ হাজার টাকা। আর হাওড়া-হুগলি থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের দিতে হবে ৫০০ টাকা করে।