Sonarpur News: বালির অবৈধ কারবার রুখতে প্রশাসনের অভিযান, তবু অধরা 'মাথা'রা!
বছরের পর বছর এই ভাবে যে কত সাদা বালি চুরি হয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই! তাও কলকাতার একেবারে অদূরে। মাত্র ৮-১০ কিলোমিটার দূরে, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের খেয়াদায়!
সোনারপুর: এবিপি আনন্দের খবরের জেরে, বালির অবৈধ কারবার রুখতে সোনারপুরে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু বালি চোরাচালানে জড়িত মাথা-রা এখনও অধরা। কবে তাঁদের গ্রেফতার করবে পুলিশ? তা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বছরের পর বছর এই ভাবে যে কত সাদা বালি চুরি হয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই! তাও কলকাতার একেবারে অদূরে! মাত্র ৮-১০ কিলোমিটার দূরে, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের খেয়াদায়! অবৈধ খাদান থেকে ট্রাক ট্রাক বালি চুরির এই কারবার, শুক্রবার প্রথম তুলে ধরেছিল এবিপি আনন্দ! আমাদের খবরের জেরে শনিবার ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় প্রশাসন। ছিলেন সোনারপুরের বিডিও, BLLRO-সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তি।
বালি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় লরি অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্যকেও। যিনি আমাদের ক্যামেরার সামনেই অবৈধ বালি কারবারের কথা স্বীকার করেন। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে শনিবার, চারটে লরি , কয়েকটি মাটি কাটার যন্ত্র এবং পাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু, বালি কারবারের সঙ্গে জড়িত মাথারা ধরা পড়বে কবে? যারা ক্যামেরার সামনে বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন যে, অবৈধভাবেই বালি পাচার হচ্ছে বছরের পর বছর।
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ি বলছেন, আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি কোন কাজ হয়নি। আপনারা দেখিয়েছেন একটু হৈচৈ হয়েছে। আপাতত লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য এটা হচ্ছে। একজন ধরা পড়েছে বলুন তো, যারা চোর। বালি চোর মাটি চোর? কাউকে কি আদৌ গ্রেফতার করেছে? প্রশাসন তো ঘুমোচ্ছে । প্রশাসন ঘুমোচ্ছে বললে অবশ্য ভুল হবে, আসলে প্রশাসন জেগে থেকে এই বালি চোর মাটিচোর এদেরকে সহযোগিতা করছে কারণ এর ভাগ একেবারে ওপর পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানও। সোনারপুরে অবৈধ বালি কারবার। ধরপাকড় হলেও, মাথারা কোথায়? ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর, আপনাদের খবর দেখে জানতে পারলাম যে, ওখানে বালি খাদান চলছে। আমরা যে কোন অবৈধ বেআইনি কাজের বিরোধিতা করি। যারা বলছেন, আসলে চোরের মায়ের বড় গলা। তারা সবকিছুতেই শাসকদলের ভূত দেখেন। আগেও দুর্নীতিগ্রস্ত লোক ছিল এখনো তারা আছেন কিন্তু তার মানে এই নয় যে শাসক দল জরিত। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি ব্যাপারটা দেখতে এবং যাতে কোন রকম ভাবেই এই কাজটা আর না হয় ওই অঞ্চলের কোন ক্ষতি না হয়। শ্রমিকরা এডির এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার। এর সঙ্গে শাসক দলের কোনও যোগ নেই। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ।