TET: বাড়ছে প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের সময়সীমা, জানাল পর্ষদ
২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেটে ৮২ পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা সুযোগ পাবেন’। সবার জন্যই এই সুবিধে, জানিয়েছে পর্ষদ। আজই আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, ‘প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের সময়সীমা ৭ দিন বাড়ছে বলে জানাল পর্ষদ। এদিন পর্ষদের তরফে জানানো হয় ‘৮২ নম্বর পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের সময়সীমা বাড়ছে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেটে ৮২ পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা সুযোগ পাবেন’। সবার জন্যই এই সুবিধে, জানিয়েছে পর্ষদ। আজই আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
দীর্ঘ অনশন-আন্দোলনেও (agitation) বদলায়নি পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) সিদ্ধান্ত (decision)। গত ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টে থেকে খুলে যায় আবেদনের (application) পোর্টাল (portal)। টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ৪০ বছর বয়সের মধ্যে থাকা প্রার্থীরা আবেদনের যোগ্য, বিজ্ঞপ্তি (notification) প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য ছিল দু-দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তার পরে ফের ইন্টারভিউ কেন? সঙ্গে প্রশ্ন, তাঁদের অনেকেরই যে বয়সসীমা ৪০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে সে দায় কি তাঁদের? কার গাফিলতিতে এমন হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। তবে বিক্ষোভকারীদের কোনও আর্তি বা যন্ত্রণার কথাতেই কর্ণপাত করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট হয়েছিল যে, আবেদনের জন্য পর্ষদের পোর্টাল খুলে গিয়েছে ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টে থেকে। কারা আবেদন করতে পারবেন, সেটিও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় সেই বিজ্ঞপ্তিতে।
২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৭-র যাঁরা টেট উত্তীর্ণ, প্রশিক্ষণ রয়েছে এবং বয়স ৪০-র নিচে, তাঁরাই এই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ যে অগ্রাধিকারের দাবি বিক্ষোভকারীদের তরফে উঠে আসছিল, তার কোনওটিতেই কর্ণপাত করেনি পর্ষদ। পাশাপাশি বলে দেওয়া হয়, যে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। ২০টি জেলার কোথায় কটি শূন্যপদ রয়েছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। বিক্ষোভকারীরা যে সব দাবি নিয়ে এত দিন যাবৎ পর্ষদের দিকে আঙুল তুলছিল, তার সবকটিই উপেক্ষা করা হয়েছিল। তবে আজ খানিকটা স্বস্তি মিলল।
এই দাবি ঘিরেই উত্তাল ছিল করুণাময়ী। ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে তুলকালাম বেঁধে যায়! জোর করে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন-আন্দোলন ভেঙে দেয় পুলিশ! পুলিশি অভিযানে ভাঙে অনশনরত ক্লান্ত, অবসন্ন চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিরোধ। নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। কিন্তু গত কাল রাতের অন্ধকারে যা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে অনেকেই সরব হয়েছেন এদিন। চাকরি চেয়ে জুটেছে পুলিশের ঘাড়ধাক্কা! কারও নাক ভেঙেছে, কেউ আবার অসুস্থ! একদিকে, করুণাময়ীতে ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন, অন্যদিকে ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে আন্দোলন ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীদের। সব মিলিয়ে বিক্ষোভে-স্লোগানে করুণাময়ীতে টানটান উত্তেজনা অব্যাহত। একের পর এক আন্দোলনকারী অনশনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু, তাতেও তাঁরা দমেননি।