Pashchim Bardhaman: সাপের কামড়ে মৃত্যু ছেলের, দাঁড়িয়ে থেকে বৌমার বিয়ে দিলেন শ্বশুর
Asansol: শ্বশুরই বৌমার বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এদিন ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে প্রভাত ফৌজদারের সঙ্গে পূজা চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে দেন তিনি। দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের সম্পূর্ণ তদারকি করেন শ্বশুর।
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: নিজের ছেলের স্ত্রী (daughter-in-law)। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে ছেলে আর জীবিত নেই। একলাই ছোট মেয়েকে নিয়ে সংসার সামলায় বৌমা। কিন্তু তার যে গোটা জীবন পড়ে। তাই এবার বৌমার বিয়ের দায়িত্ব নিলেন শ্বশুর (father-in-law) নিজেই।
বৌমার বিয়ে দিলেন শ্বশুর
আসানসোলের কালীপাহাড়ির ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে নিজের বিধবা বৌমার বিয়ে দিলেন শ্বশুর। এদিন এমনই এক অন্য ধরনের নজির দেখা গেল আসানসোলে। জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার চিচুড়িয়ার বাসিন্দা কিশোর চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের ২০১৭ সালে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এর ২ বছর পর তার পুত্রের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। এরপর থেকে তাঁর বৌমা এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকছিলেন। তারপর শ্বশুরই বৌমার বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এদিন ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে প্রভাত ফৌজদারের সঙ্গে পূজা চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে দেন তিনি। দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের সম্পূর্ণ তদারকি করেন শ্বশুর।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকে হলদিয়াবাসীও। বিদ্যাসাগরের জেলায় সেই 'ঈশ্বর'সুলভ কাজই করে নজির গড়েন হলদিয়ার বিজ্ঞান কর্মী নকুল ঘাঁটি। পথ দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়েছেন। বাড়িতে তখন শোকে মূহ্যমান ছেলের স্ত্রী ও ছোট ছেলে। পুত্রশোকে শোকস্তব্ধ তিনিও। কিন্তু বিজ্ঞান ও বিদ্যাসাগরের ভাবনাকে কেবল পুঁথিগত করে না রেখে তা বাস্তব জীবনেও করে দেখালেন নকুলবাবু। বৌমাকে নিজের মেয়ে মনে করেই ফের বিয়ে দিলেন।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হলদিয়ার সুতাহাটার বাসিন্দা অর্ণব ঘাঁটির। অর্ণবের বাবা পেশায় পুলকার চালক নকুল ঘাঁটি একজন বিজ্ঞান কর্মীও। তিনি জানান, ছেলে মারা যাওয়ার পর পুত্রবধূ শুভ্রা তাঁদের সেই শোক ভুলিয়ে একই সঙ্গে বাবা-মা'র প্রতি সন্তান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু চেতনা ও বিবেক এই দুইয়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ময়নাগুড়িতে বিএসএফের অভিযান, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-বিস্ফোরক
কন্যাসম বৌমা ও তাঁর বছর দু'য়েকের নাতির ভবিষ্যতের কথা ভেবে বৌমার আবার নতুন করে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শুভ্রার শ্বশুর নকুল ঘাঁটি। যদিও প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না শুভ্রা। এরপর অনেক বুঝিয়ে তিনি রাজি করান শুভ্রাকে। বিজ্ঞান কর্মী শুভ্রার শ্বশুর নকুলবাবু নিজের বাড়িতেই বৌমার মালাবদল করিয়ে নতুন করে চারহাত এক করিয়ে দেন।