TMC Delhi Chalo : বাস এলেই দিল্লি রওনা দিতে হবে, সারা রাত ডিম-ভাত রান্না নেতাজি ইন্ডোরে, তৈরি ৩-৪ হাজার মানুষ
TMC’s Delhi protest : খাওয়াদাওয়া সেরে তড়িঘড়ি তৈরি হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত পেলেই বাস চেপে রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে।
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : বাংলার পাওনা বকেয়া আদায় করতে ৩-৪ হাজার লোক নিয়ে দিল্লিযাত্রা ( TMC Delhi Dharna ) শুরুর ঠিক আগের দিন, তৃণমূলের ( TMC ) চাহিদা মতো বিশেষ ট্রেন দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। আর তাই বাসেই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে তৃণমূলের এই দিল্লি চলো অভিযান। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্নায় বসবে তৃণমূল। বাংলার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। গতকাল থেকেই দফায় দফায় নেতাজি ইন্ডোরে এসে পৌঁছেছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া জবকার্ড হোল্ডার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর না-পাওয়া মানুষ। তৃণমূলের টার্গেট, দিল্লিতে অন্তত ৩-৪ হাজার মানুষের জমায়েত। পাওয়া যাচ্ছে না ট্রেন, তাই প্রস্তুত বাস। সূত্রের খবর প্রায় ১০০ টি বাস তৈরি হয়েছে তাঁদের জন্য। জেলায় জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা এদিন রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লি-যাত্রার জন্য প্রায় ১০০টি বাস নেওয়া হচ্ছে। নেতাজি ইন্ডোরে সকাল সকাল প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে কর্মীদের। বিভিন্ন জেলা অনুযায়ী বাস বরাদ্দ করা হয়েছে। যে কোন সময় আসতে পারে বাস। তাই সকাল সকাল প্রস্তুত হচ্ছেন কর্মীরা। সারা রাত ধরে রান্না হয়েছে নেতাজি ইন্ডোরে। মেনুতে রয়েছে, ভাত-ডাল-তরকারি, ডিম। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। খাওয়াদাওয়া সেরে তড়িঘড়ি তৈরি হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত পেলেই বাস চেপে রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে।
শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে আধিকারিক শেখ আল্লারাখার সই করা চিঠিতে IRCTC-র ইস্টার্ন জোনের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজারকে লেখা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার, বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য যে আবেদন জানানো হয়েছিল, সেই অনুযায়ী রেক এই মুহূর্তে অমিল। IRCTC-কে পাঠানো পূর্ব রেলের আধিকারিকের রেক অমিলের চিঠি এবং তৃণমূলের তরফে রেক চেয়ে করা আবেদনপত্রের ইমেলের স্ক্রিনশট নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নির্ধারিত ডিপোজিট নেওয়ার পরেও, বিজেপি সরকার নিলর্জ্জভাবে বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করতে চাইছে না! পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদ করার অধিকার এবং প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রাখতে যেভাবে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা আসলে আতঙ্কের উজ্জ্বল নিদর্শন! বাংলার মানুষের সামনে তারা ভয়ে জড়সড় হয়ে গেছে, এটা দেখে ভালই লাগছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ED-র তলবে ৩ অক্টোবর, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেবেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, ওইদিন যোগ দেবেন দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে, আগামী দোসরা ও তেসরা অক্টোবর, দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল। ED'র সমনের চিঠি বৃহস্পতিবারই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিষেক। তারপর শুক্রবার ইডির ডাকে তিনি ওইদিন যাবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।