Dimming The Sun: সূর্যের তেজের প্রভাব কমিয়ে ঠান্ডা করা হবে পৃথিবীকে? পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পথে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা
Climate Change: পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা, যার নেপথ্য কারণ আবার দূষণ, কার্বন নির্গমন।

নয়াদিল্লি: যাবতীয় জল্পনা-কল্পনাই সার। পৃথিবীর ঠান্ডা হওয়ার লক্ষণ নেই এখনও পর্যন্ত। বরং যত দিন যাচ্ছে, উত্তাপ বেড়েই চলেছে। সেই আবহে এবার সূর্যকে না নিভিয়ে, তার আলোকে নিষ্প্রভ করতে উদ্যোগী হল ব্রিটেন। Geoengineering পদ্ধতিতে এই কাজে হাত দিতে চলেছে তারা সরকারি অনুমোদন মিলে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। (Dimming The Sun)
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা, যার নেপথ্য কারণ আবার দূষণ, কার্বন নির্গমন। এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবীকে ঠান্ডা করার উপায় খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পান। জানা যায়, জলপথে যে জাহাজ চলে, তা থেকে নির্গত সালফার মিশে মেঘ আরও বেশি সূর্যালোক প্রতিক্ষেপক হয়ে উঠছে। এর ফলে তার চারপাশের অঞ্চল তুলনায় অনুজ্জ্বল এবং ঠান্ডা হচ্ছে। সেই পর্যবেক্ষণকে কাজে লাগিয়েই এবার পৃথিবীকে ঠান্ডা করতে উদ্যোগী হয়েছে ব্রিটেন। (Climate Change)
সূর্যালোককে নিষ্প্রভ করতে ব্রিটেন সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড আলাদা সরিয়ে রাখা হয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৬৭ কোটি টাকা। Geoengineering পদ্ধতিতে এই অসাধ্যসাধনের পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের। এই পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলে প্রতিক্ষেপক কণা সম্বলিত মেঘ প্রতিস্থাপিত করা হতে পারে। মেঘকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে সমুদ্রের জলও ছিটনো হতে পারে বায়ুমণ্ডলে।
ব্রিটেনের সরকারি সংস্থা Advanced Research and Invention Agency (ARIA)-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। সেই পরীক্ষা সফল হলে, তীব্র গরম থেকে মানুষ সাময়িক মুক্তি পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সূর্যালোক বায়ুণমণ্ডল থেকে ঊর্ধ্বমুখে প্রতিফলিত হলে মাটি তেতে উঠবে না। কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনতে হাতে আরও বেশি সময় পাওয়া যাবে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক পিটার আরভিন জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা এতে পুরোপুরি ঘুচবে না। কিন্তু হাতে আরও বেশি সময় পাওয়া যাবে। মেঘের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে সূর্যালোকের তেজ কমিয়ে আনার এই কাজ অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে মেঘ বুনে বৃষ্টি ঘটাতে গিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য় নষ্ট হওয়ার উদাহরণ রয়েছে। দুবাইয়ে বন্যা হলে সবমহল থেকে সেই নিয়ে প্রতিবাদ শোনা যায়। ফলে এক্ষেত্রেও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে ক্যান্সারের উপশম যেমন অ্যাসপিরিনে হয় না, মেঘের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। বরং পরিবেশকে ঘাঁটালে ফল মারাত্মক হতে পারে বলে মত ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞানী সারা ডোহার্টির।






















