Purba Bardhaman: মানবাধিকার কর্মীকে বেধড়ক 'মার', কাঠগড়ায় তৃণমূল কর্মী
TMC: পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মানবাধিকারকর্মী সঙ্গীতা চক্রবর্তীর ওপর হামলা। মারধরের জেরে ডান হাতে চিড় ধরেছে বলে অভিযোগ।
কমলকৃষ্ণ দে, রাণা দাস ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, আউশগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূলকর্মী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মানবাধিকারকর্মী সঙ্গীতা চক্রবর্তীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। মারধরের জেরে তাঁর ডান হাতে চিড় ধরেছে। নেপথ্যে অনুব্রত মণ্ডলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মানবাধিকারকর্মী। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মানবাধিকারকর্মী সঙ্গীতা চক্রবর্তীর ওপর হামলা। এফআইআর-এ (FIR) তৃণমূলের এক মহিলাকর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ। মারধরের জেরে ডান হাতে চিড় ধরেছে সঙ্গীতা চক্রবর্তীর। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার পৈত্রিক বাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী ফুলেশ্বরী গোস্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মানবাধিকারকর্মী। হামলার নেপথ্যে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। আক্রান্ত মানবাধিকার কর্মী সঙ্গীতা চক্রবর্তী বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা বাহিনী মারধর করেছে।'
বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ:
২০১৬ সালে, সঙ্গীতার বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুঠপাট হয়েছিল। ওই বছরই ২৯শে ডিসেম্বর তাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে দলীয় সভা থেকে সঙ্গীতাকে গাঁজা কেসে গ্রেফতার করানোর কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেদিন বীরভূমের তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, 'ওই মেয়েটার কী নাম। মোটা করে মেয়েটা। কাপড়ের দোকান আছে। সঙ্গীতা। ও বিজেপি করে। ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে যে গাঁজা কেসে।' এবার, সেই সঙ্গীতাকেই ফের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
শুরু তরজা:
আক্রান্ত মানবাধিকারকর্মী সঙ্গীতা চক্রবর্তী বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে এটা হয়েছে। জেলে বসে কতগুলো ফোন ব্যবহার করছে। পুরুষ বাহিনী পাঠাতে পারছেন না বলে মহিলা বাহিনী পাঠাচ্ছেন। জেলে কারা ফোন দিচ্ছে? এর তদন্ত দরকার।' পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমি যেটুকু জানি ওই মহিলা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। অনুব্রত মণ্ডল জেলে আছেন, উনি এত বড় কেউ নন, যে তাঁকে তৃণমূলের লোকেরা মারবেন। পুলিশের নামে যে অভিযোগ করছে, তাঁর বাড়ির সামনে সিভিক আছে।'
বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রব সাহা বলেন, 'এটা তো নতুন কিছু নয়। জেলে বসেই অনুব্রত নিয়ন্ত্রণ করছে।'
পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে FIR করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।