(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sisir Adhikari : ফের শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবি
TMC on Sisir : ২০২০-র ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী...
নয়া দিল্লি : ফের শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানাল তৃণমূল। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার (Om Birla) কাছে তৃণমূলের তরফে এই দাবি জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। দলত্যাগ বিরোধী আইনে কাঁথির সাংসদের পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়। পাল্টা অর্জুন সিংকে নিয়ে লোকসভার স্পিকার প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূলের বক্তব্য-
সুদীপ বলেন, "আমি শিশির অধিকারীর চিঠির উত্তর দেওয়া নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব সদস্যপদ খারিজের আবেদন করেছি। উনি যে বিজেপিতে তার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত চাই।" তবে তাঁর অভিযোগ, শিশির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি চাপ দিচ্ছে। যদিও অধ্যক্ষ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন ; শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ হবে? ২৮ জুলাই শুনানি
টালাবাহানার পর ২০২০-র শেষলগ্নে ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তিনিও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। সেই আবহেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহর সভামঞ্চে দেখা যায় শুভেন্দুর বাবা ও কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। যদিও তিনি তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েননি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সাংসদপজ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন সুদীপ। সেই থেকে এই টানাপোড়েন চলছে। যদিও সম্প্রতি শিশির অধিকারী বলেন, 'তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব'। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election 2022) দিল্লিতে সংসদ ভবনে গিয়ে ভোট দেন শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা-নেত্রী কলকাতায় ভোট দেন। শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী দুজনেই আগাম বলেছিলেন, বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবেন। তবে কলকাতায় নয়, দিল্লিতে গিয়ে গোপনে ব্যালটে ভোট দেবেন তাঁরা। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। যদিও বিতর্কের ঝড় উঠলেও নিজের জায়গায় অনড় থেকে দিল্লিতে সংসদ ভবনে গিয়ে ভোট দিয়ে এসে শিশির অধিকারী বলেন, 'তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব'।
তাঁর সংযোজন ছিল, "এখানে কোনও অভিসন্ধি বা চক্রান্তের কোনও বিষয় নেই। এটা গোপন ভোট। আমি একরকম বলে আরেকরকম দিলাম, তাতে কিছু লোকের কথা বলার সুযোগ হয়, এটা ঠিক। আমাদের পরিবার-আমাদেরকে নিয়ে অনেক গাল গল্প হচ্ছে। এবার আরও একটা বড় সুযোগ হল। তাতে কোনও কষ্টও নেই, দুঃখ নেই। যা করি জ্ঞানত করি, যা বুঝি সেটাই করি। নেত্রীর কথা মতোই ভোট দিয়েছি। তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।"