(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Canning News: ক্যানিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার জেল-ফেরত তৃণমূল নেতা-সহ ৪
TMC Leader Arrested: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাহিরসোনা গ্রাম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার জেলখাটা তৃণমূল নেতা-সহ ৪ দুষ্কৃতী ।
শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections) আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের (South 24 Parganas Canning) বাহিরসোনা গ্রাম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার (Arrest) জেল-ফেরত তৃণমূল নেতা-সহ ৪ দুষ্কৃতী । ধৃত খলিল আলি মোল্লা তৃণমূলের দাঁড়িয়া অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms), একটি কার্তুজ ও একটি চপার এবং নগদ ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা।
গ্রেফতার জেল-ফেরত তৃণমূল নেতা
২০১৯ সালে দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামীকে কুপিয়ে, গুলি করে খুনের অভিযোগ বছর দেড়েক জেল খাটেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি খলিল আলি মোল্লা। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ফের কাউকে খুনের ছক কষে দুষ্কৃতীরা। গতকাল রাতে গ্রামে হানা দিয়ে
তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ।
কাউকে খুন করার চক্রান্ত ?
তবে ধৃতরা নগদ এত টাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কী উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছিল ? কিংবা কাউকে খুন করার চক্রান্ত করছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে ক্যানিং থানার পুলিশ।ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হবে।প্রসঙ্গত, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, গরুপাচার, কয়লাপাচার সহ একাধিক মামলায় নাম জড়িয়ে গ্রেফতার শাসকদলের হেভিওয়েটরা। এহেন মুহূর্তে বড় মামলা না হলেও, জেলায় জেলায় আরও একাধিক অপরাধে শ্রীঘরে ঠাঁই হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
গোষ্ঠীকোন্দলের শিকার
ফেব্রুয়ারি মাসে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে পণ্যবোঝাই লরি চালককে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) অঞ্চল সভাপতি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ (Police)। গোষ্ঠীকোন্দলের শিকার হন বলে দাবি করেছিলেন অভিযুক্ত শাসক-নেতা। সঙ্গদোষে স্বভাব নষ্ট বলে খোঁচা দিয়েছিল বিজেপি। যার জেরে অস্বস্তিতেও পড়ে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু দুই ভাইয়ের
টাকা লুঠ
অভিযোগ, আচমকা রাস্তা আটকায় মোটরবাইক আরোহী ৩ যুবক। তোলা দিতে না চাওয়ায় লরি চালককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ঘায়েল করে ২২ হাজার টাকা লুঠ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী লরি চালক মধু সিংহ বলেছিলেন, '৩ জন এসে পথ আটকায়। মারধর করে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়।' ব্যবসায়ীদের তরফে নিরাপত্তার (Security) দাবি তোলা হয়েছে। ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র অঞ্চল সভাপতি-সহ সংগঠনের আরও দুই সদস্যকে।