Saayoni Ghosh: ঋণের টাকায় গল্ফগ্রিনে 'মহার্ঘ্য' ফ্ল্যাট, দাবি সায়নীর, ব্য়াঙ্কের নথি দেখতে চায় ED
SSC Case: ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গল্ফগ্রিনে দু'টি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়নীর। ওই দু'টি ফ্ল্যাটই ২০২০-'২১ সালে কেনা হয়।
কলকাতা: টানা প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরও ফের তলব সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)। তৃণমূলের যুব কংগ্রেস নেত্রীর দুই ফ্ল্যাটের দিকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ED) নজর বলে জানা গিয়েছে। দু'টি ফ্ল্যাটই গল্ফগ্রিন এলাকায়। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে ইডি-কে জানিয়েছেন সায়নী। তবে ই়ডি-র দফতরে সেই সংক্রান্ত নথি নিয়ে যায়নি তিনি। পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাবাদ পর্বে তাঁকে সমস্ত নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গল্ফগ্রিনে দু'টি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়নীর। ওই দু'টি ফ্ল্যাটই ২০২০-'২১ সালে কেনা হয়। একটি ফ্ল্যাটের দাম ৩৫ লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটি সায়নীর মায়ের নামে কেনা। অন্য ফ্ল্যাটটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। সেটি ফ্ল্যাটটি কেনা হয় সায়নীর নামে। এছাড়াও, পৈত্রিক সূত্রে একটি বাড়ি রয়েছে সায়নীর, জানতে পেরেছে ইডি।
শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফ্ল্যাট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সায়নীকে। জানতে চাওয়া হয়, ফ্ল্যাট কেনার টাকা কোথা থেকে এল। তাতে সায়নী জানান, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। তবে ওই ফ্ল্যাট কেনার সময় বুকিং বাবদ যে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, তা কুন্তল ঘোষের থেকে সায়নী পেয়েছিলেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
সায়নীর কাছে ফ্ল্যাটের ঋণ সংক্রান্ত নথিও দেখতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু সায়নী জানান, নথি সঙ্গে আনেননি তিনি। তাতে পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ওই নথি নিয়ে যেতে বলা হয় তাঁকে। কত টাকার ঋণ নিয়েছিলেন সায়নী, তার কিস্তি কোথা থেকে কাটা হয়, সেই সংক্রান্ত সব নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ৫ জুলাই সব নথি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে ইডি।
শুধু তাই নয়, সাায়নীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হয়েছে ইডি-র তরফে। ক'টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন সায়নী। ৫ জুলাই অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের প্রতিলিপিও জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কুন্তলের সঙ্গে লেনদেনের অভিযোগ সামনে এলেও, সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সায়নী।
শুক্রবার সায়নীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কুন্তল ঘোষকে কি চেনেন তিনি? সদর্থক উত্তরই দেন সায়নী। জানান, কুন্তলকে চেনেন তিনি। তবে তেমন পরিচয় ছিল না। জেলাস্তরে কাজ করতেন কুন্তল। জেলায় গেলে দেখা হতো। সমাজকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন কুন্তল। একটি কলেজ চালান বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও দিন কুন্তলের থেকে কোনও টাকা নেননি বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন সায়নী।
সায়নী জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট বুক করতে নিজের এবং পরিবারের থেকে টাকা দিয়েছিলেন তিনি। তবে তদন্তকারীরা সায়নীর ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত নথি এবং স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তলের গ্রেফতারির পর, আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সায়নী ঘোষের নাম উঠে আসে। তাকে সামনে রেখেই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। আবারও ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।