Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ফের স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনল তৃণমূল কংগ্রেস
Suvendu Adhikari BJP: গত ৯ জুন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার রায়দান করতে গিয়ে বিধানসভায় বলেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন।
কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে ফের স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনল তৃণমূল (TMC)। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিধানসভায় সাসপেনশন উঠতে না উঠতেই, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ফের স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনল তৃণমূল। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে শুক্রবার স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ''কোনও বিচারপতির মন্তব্য পছন্দ না হলে আমি তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলতে পারি না। স্পিকার বিধানসভার বিচারপতি। তাঁর বিরুদ্ধে এভাবে বলা যায় না। তাই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছি।''
পরিষদীয় দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা জানিয়েছেন, ''সবাই জানেন মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই কথা বলে আসছি। শুভেন্দু অধিকারী ও সেটাই বলেছেন। এটা অবমাননা কি করে হল? আসলে এতদিন সাসপেন্ড করে রাখা ছিল। এবার প্রিভিলেজ আনা হলো। ওনাকে থাকতে দিতে চায় না সরকার।''
গত ৯ জুন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার রায়দান করতে গিয়ে বিধানসভায় বলেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। বিধানসভার বারান্দায় দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষের ওই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''স্পিকার বলছেন মুকুল রায় বিজেপিতে। আর মুকুল রায় নিজে বলছে tmc তে। স্পিকার না পারছে গিলতে, না পারছে উগরোতে। আসলে খেতেই জানে না তো খাবে কী।''
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। বিধানসভা সূত্রে খবর, অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব গ্রহণ করে, তা আলোচনার জন্য স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এই নিয়ে মোট ৩টি স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব জমা পড়ল রাজ্য বিধানসভায়।