Madan Mitra: 'যেদিন একটা বাঙালির গায়ে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হাত পড়বে...', বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মদনের
PM Narendra Modi" বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং বাঙালি অস্মিতা--- গতকাল দুর্গাপুরের সভা থেকে, জোড়া ইস্য়ুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদি।

কলকাতা : 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী' বনাম 'বাঙালি হেনস্থা'। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে, রাজ্য় রাজনীতির অন্য়তম প্রধান ইস্য়ু হয়ে উঠেছে এটাই। এবার বাঙালি-অস্ত্রে শান দিয়ে আক্রমণ শানালেন মদন মিত্র। ভাইরাল ভিডিও। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় এই ইস্যুতে হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, "বাংলা গান গাইতে পারে। বাংলা কবিতা লিখতে পারে। বাংলা ভালোবাসতে পারে। কিন্তু যদি কেউ মনে করে থাকেন যে, বাঙালি বা বাংলার মানুষ প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে পারেন না, তাহলে জেনে রেখে দিন, যেদিন একটা বাঙালির গায়ে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হাত পড়বে, সেদিন কিন্তু বিজেপির হাতের মুঠো কেমন করে মুচড়ে ভেঙে দিতে হয়, তার জন্য তৃণমূলের কর্মীরা তৈরি আছেন। উই আর রেডি ফর দ্যাট।"
মদনের বক্তব্যের পর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, "উনি যেটা বলেছেন আমি ওঁর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একশোভাগ একমত। উনি যে জেগে উঠেছেন সেটাও বাংলার এফেক্ট কি না বলতে পারব না। কিন্তু, এটা তো ঠিক যে যেমন একজন বাঙালির উপরে যদি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে হাত-আঙুল ওঠে, তাহলে সে হাত আমরা সবাই মিলে নামাব। ঠিক উল্টোদিক থেকে যদি অনুপ্রবেশকারীদের বাঙালি ভারতীয় ভোটার বলে চালানো হয়, লাভলি খাতুন... তাহলেও তো আমরা হাত তুলব..হ্যাঁ কি না বলুন। আমরা বাঙালির বিরুদ্ধে নই, আমরা বাংলার বিরুদ্ধে নই, কিন্তু ওপার বাংলা থেকে যাদের আমদানি করে সারা রাজ্যটাকে যিনি ভরিয়ে দিচ্ছেন, সারা রাজ্য থেকে যারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই অনুপ্রবেশকারী..যে লড়াইটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন, ২১ জুলাই ১৩টা ছেলে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন, এই ইস্যুতে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তখনকার ভাষণ ছিল, অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশ থেকে আসে, ভোট দেয় চলে যায়। সেজন্য সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট হোক, এই দাবি নিয়ে ১৩টা ছেলে গুলি খেয়ে পড়েছিলেন। আর আজ তাঁদের রক্ত, লাশের উপর দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, ওই যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের হয়ে দালালি করছেন। একজন বাঙালির উপর যদি আঙুল ওঠে, সেই আঙুল আমরা সবাই মিলে মুচড়ে দেব। সে হিন্দু বাঙালি হোক, মুসলমান বাঙালি হোক। কিন্তু, বাংলাদেশিদের আপনি বাঙালি ভারতীয় বলে চালাবেন, রোহিঙ্গাদের পরমাত্মীয় বলে তাদের ভোটার লিস্টে লাম তুলে দেবন,সেখান থেকে তারা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়বে, এটা বাঙালি সহ্য করবে না।"
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং বাঙালি অস্মিতা--- গতকাল দুর্গাপুরের সভা থেকে, জোড়া ইস্য়ুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। পাল্টা বিজেপি শাসিত রাজ্য়ে বাংলাভাষীদের হেনস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। যদিও, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির জন্য় বাংলা অস্মিতা সবার ওপরে।






















