Nusrat Jahan: ৬ ঘণ্টা ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সটান মন্দিরে, পুজো দিলেন নুসরত
Nusrat Jahan Interrogated: সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সটান গাড়িতে উঠে বাড়িপ দিকে রওনা দেন নুসরত। কিন্তু বাড়িতে না ঢুকে, বাড়ির কাছে একটি মন্দিরে প্রথম ঢোকেন নুসরত।
কলকাতা: ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় নয় নয় করে টানা ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দফতর থেকে বেরিয়েই মন্দিরে ছুটলেন তৃণমূল সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সটান গাড়িতে উঠে বাড়িপ দিকে রওনা দেন নুসরত। কিন্তু বাড়িতে না ঢুকে, বাড়ির কাছে একটি মন্দিরে প্রথম ঢোকেন নুসরত। সেখানে পুজো দেন তিনি। (Kolkata News)
মঙ্গলবার দফায় দফায় নুসরতকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর পর বিকেল ৫টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন তিনি। কোথাও না দাঁড়িয়ে সটান গাড়িতে উঠে পড়েন। বাড়ির দিকেই রওনা দেন। কিন্তু সোজা বাড়িতে না ঢুকে, বাড়ির কাছে একটি মন্দিরের সামনে নেমে পড়েন নুসরত। শ্বেত পাথরের মেঝের উপর বসে পড়েন তিনি। পুরোহিতের হাতে তুলে দেন সামগ্রী। পুজো মিটলে প্রসাদ সংগ্রহ করে উপস্থিত সকলের মধ্যে বিলিও করেন নিজেহাতেই।
মন্দিরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম এবং বাকি সকলের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেন নুসরত। মন্দিরে প্রসাদ বিলি করতে করতেই বলেন, "বাড়িতে সকলে অপেক্ষা করছে। বাড়ি যাব।" মন্দিরে আসার বিশেষ কোনও কারণ আছে কি? জবাবে নুসরত জানান, কোনও বিশেষ কারণ নেই। নুসরত বলেন, "শনি-মঙ্গলবার করে এমনিতেই আসি আমার। কেউই না থাকলেও আসতাম। অন্য কোনও দিন হলেও দেখতে পেতে।"
আরও পড়ুন: CPM: এখনও অধরা দুর্নীতির মাথারা, ‘দিদি-মোদি’ আঁতাতকেই দুষছে CPM, ৫ অক্টোবর CBI দফতর ঘেরাও
এদিন নুসরত জানান, তদন্তকারীরা যা যা জানতে চেয়েছিলেন, সব প্রশ্নের উত্তরই তিনি দিয়েছেন। তাঁর তরফ থেকে কোনও লুকোছাপা হয়নি। নুসরত বলেন, "সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছি। আবার যদি প্রয়োজন পড়ে, আবার যদি ডাকেন, আবারও যাব। সব নথি দিয়ে দিয়েছি।" যদিও ইডি সূত্রে খবর, নুসরতের দাবিতে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা।
ফ্ল্যাট-প্রতারণাকাণ্ডে ED-র তলবে হাজিরা দেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত। নির্ধারিত সময়ের ১৭ মিনিট আগেই ফাইল, নথিপত্র হাতে পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। অভিযোগ, ২০১৪-'১৫ সালে রাজারহাটে জমি কিনে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা, ৪২৯ জনের থেকে ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা নেয়। ন'বছরেA বিনিয়োগকারীরা কেউ ফ্ল্যাট না পেলেও, সেই টাকায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে ফ্ল্য়াট কেনেন বলে অভিযোগ ওঠে। পাম অ্যাভিনিউয়ে ইডেন ইম্পিরিয়াল আবাসনে নুসরতের আড়াই হাজার স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
নুসরত অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, তিনি ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের ঋণ নেওয়ার দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ। গতকাল ED-র তলবে হাজিরা দেননি রাকেশ। উল্টে সময় চেয়েছেন। আজ অবশ্য ED-র ডাকে সাড়া দিলেন নুসরত।