Sudip Bandyopadhyay: অভিষেককে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা, দাবি সুদীপের, কটাক্ষ ছুড়ে দিল বিজেপি
Abhishek Banerjee: মহাত্মা গাঁধীর সমাধিক্ষেত্র যে রাজঘাট, গোটা বিশ্বের কাছে যা শান্তির প্রতীক, সোমবার দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রাজধানী দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি তৃণমূলের (TMC)। সেই নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, ধাক্কাধাক্কি দেখা গিয়েছে। সেই আবহেই এবার তৃণমূলের তরফে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে। দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay) দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এর পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP)।
মহাত্মা গাঁধীর সমাধিক্ষেত্র যে রাজঘাট, গোটা বিশ্বের কাছে যা শান্তির প্রতীক, সোমবার তার বাইরেই অমিত শাহের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন সেখান থেকেও জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।
এর পরই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সুদীপ। গাড়িতে অভিষেকের পাশে বসেই তিনি বলেন, "অভিষেককে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আমি সঙ্গে ছিলাম। আমি একজন সাংসদ। আমি দেখেছি, অভিষেককে মারার চেষ্টা হয়েছে। যেভাবে হামলা হয়েছে, সেটা লজ্জার বিষয়। এই সরকারকে ধিক্কার। আমরা হতবাক।"
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: মমতা নামেই আছেন, পিছন থেকে সরকার চালাচ্ছেন অভিষেক, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তের
যদিও সুদীপের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি এবং দলে রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "ছুঁচো মেরে কেউ হাতগন্ধ করতে চায় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে, যে ওঁর মেরে ফেলার চেষ্টা হবে! ভারতে রাজনৈতিক নেতাদের সবচেয়ে ঝুঁকি থাকে উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির থেকে, বিশেষ করে ইসলামি উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি থেকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো নীরবে তাদের কাজ করে যাচ্ছেন, তাই ওঁর প্রাণ নেওয়ার দরকার নেই কারও।" রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "উত্তর কলকাতা থেকে ওঁর টিকিট কাটা যাবে। টিকিট পেতে স্তাবকতা করছেন উনি।"
১০০ দিনের কাজ, আবাস, সড়ক যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে ধর্না, বিক্ষোভ চালাচ্ছে তৃণমূল। দিল্লির রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নায় নীরব অবস্থানের মধ্য দিয়ে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সোমবার প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। তাকে ঘিরে হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজধানীর বুকে। ধাক্কাধাক্কি, লাঠিয়ে উঁচিয়ে পুলিশের তেড়ে যাওয়ার দৃশ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাদের প্রশ্ন, রাজঘাটে সোমবার যা হল তাও কি বিজেপি-তৃণমূলের সেটিং নয়?