Rachna Banerjee: রচনা কখনও মিমি-নুসরত হবেন না, তারকা সাংসদকে নিয়ে বললেন 'শিক্ষক' সুদীপ
Sudip Banerjee: সংসদীয় রাজনীতিতে সুদীপকে শিক্ষক মানলেন রচনা।
কলকাতা: অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত হুগলিতে। এবার লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথমদিনই সংসদে রাজনীতির শিক্ষক পেয়ে গেলেন তিনি। আর কেউ নন, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাকে সংসদের খুঁটিনাটি শেখানোর দায়িত্ব নিলেন। এর আগে, তৃণমূল মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানের মতো তারকা অভিনেত্রীদের সাংসদ করলেও, রচনা তাঁদের থেকে আলাদা বলে দাবি সুদীপের। (Rachna Banerjee)
বুধবার সংসদের বাইরে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হন সুদীপ এবং রচনা। সেখানে রচনা সংসদে সুদীপের ভাষণের ভূয়সী প্রসংসা করেন। তিনি বলেন, "দাদা আমাদের পথপ্রদর্শক। দাদার ভাষণ আজ সকলের মন জয় করে নিয়েছে। একদম টু দি পয়েন্ট। খুব ইনোভেটিভ। আমরা খুব খুশি। উনি সিনিয়র নেতা, এটাই প্রত্যাশিত ছিল।" (Sudip Banerjee)
সংসদীয় রাজনীতিতে কি তাহলে সুদীপই তাঁর শিক্ষক? রচনা বলেন, "সবসময়ই ওঁর গাইডেন্স চাই। আমরা সবাই তো নতুন। মাথার উপর হাত না থাকলে হয় কখনও! দাদাদের ছায়া ছায়ায় আমরা চলছি।" সাংসদ রচনাকে নিয়ে আশাবাদী সুদীপও। আর তাতেই মিমি-নুসরতের কথা টানেন তিনি। সুদীপ বলেন, "রচনা জিতে এসে প্রথম দেখাতেই বলেছে, 'দাদা তোমরা অনেক সিনিয়র, অনেক অভিজ্ঞ। আমাদের শেখাতে হবে। আমি শিখতে আগ্রহী'।"
আরও পড়ুন: TMC MP Dev Oath: 'এই শেষ' বলেছিলেন, ঘাটালের জন্যই ফের লোকসভায় দেব, তেরঙ্গাকে সামনে রেখে এগনোর শপথ
সুদীপের কথায়, "প্রথম থেকে যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তা ভাল। প্রথম বারই যারা এসে পারফর্ম করার চেষ্টা করে, তাদের কাছে সাফল্য আসবেই। নিজেকে কতটা তৈরি করতে পারবে, তা অধ্যাবসায়ের উপর নির্ভর করে। অনেকে বলেছে, কিন্তু পরে আর আসেনি। আগের পার্লামেন্টে মিমি, নুসরত খুব ঘোরাঘুরি করত আমার কাছে। প্রথম দিকটায় বেশ উদ্যোগী ছিল ওরা। পরের দিকে পিঠে হাত দিয়ে শুধু বলত, 'দুবাই চলে যাচ্ছি শ্যুটিং করতে।' সেটা রচনা যাবে না। ও শিখতে চায়। সংসদ তো মাত্র তিন মাসের। ১০০ দিনও নয়। প্রত্যেককেই বলব, ভাল সাংসদ হতে চেষ্টা করুন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন মানুষের কাছে।"
মিমি-নুসরতের সঙ্গে তাঁর এই তুলনা নিয়ে রচনা যদিও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সাফ জানিয়েছেন, তিনি শুধু নিজেরটা বলতে পারবেন। নতুন এসেছেন, ভাল কাজ করাই তাঁর লক্ষ্য। হুগলির মানুষ বিশ্বাস করে তাঁকে ভোট দিয়েছেন, তাই তাঁরও দায়বদ্ধতা আছে বলে জানান রচনা। যুদ্ধ শুরু হয়েছে, লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত, জয় নিয়েও আশাবাদী বলে জানিয়েছেন রচনা।
তবে রচনা প্রশ্ন এড়ালেও, মিমি-নুসরতকে নিয়ে সুদীপ যে মন্তব্য করেছেন, তা আগেও শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পার্থ ভৌমিকও বসিরহাটের তদানীন্তন সাংসদ নুসরতের গা ছাড়া আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সন্দেশখালির মতো ঘটনায় যখন উত্তাল চারিদিক, সেই সময় সাংসদ নুসরতের দেখা না পাওয়ার প্রশ্নে তিনিও জানিয়েছিলেন যে, নিজে থেকে কিছু করার গরজ নেই নায়িকার। এদিন সুদীপের গলাতেও কার্যত একই সুর শোনা গেল।
তৃণমূলের টিকিটেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মিমি এবং নুসরত। সংসদে তাঁদের প্রবেশ, শপথগ্রহণ বেশ সাড়াও ফেলেছিল। দুই মহিলা সাংসদকে ঘিরে আশাও দেখছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাল কাটে। জনপ্রতিনিধি হলেও মানুষের কাজে, মানুষের পাশে তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। অসন্তোষ তৈরি হয় দলের অন্দরেই। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে, যাদবপুরে ফের মিমিকে প্রার্থী করা নিয়েও সংশয় দেখা যায়। সেই আবহেই পদ ছাড়েন মিমি। বসিরহাটে আর তৃণমূল নুসলতকেও প্রার্থী করেনি।