TMC Rift in Birbhum: তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ৬৬ বিঘা খাস জমি দখলের অভিযোগ, জেলাশাসককে চিঠি পঞ্চায়েত সদস্যদের
Sainthia News: তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও খাস জমি দখলের অভিযোগ তুলে জেলাশাসককে চিঠি দিলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়া: গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিল তছরূপ ও সরকারি প্রায় ৬৬ বিঘা খাসজমি দখলের অভিযোগ উঠল খোদ উপপ্রধানের বিরুদ্ধে (TMC Rift in Birbhum)। পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্যের অভিযোগ, সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল পঞ্চায়েতের তহবিল তছরূপ করেছেন। সেই সঙ্গে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় বিনা টেন্ডারে ইচ্ছামতো জিনিসপত্র কিনছেন। এই বিষয় নিয়ে সাঁইথিয়ার বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। কয়েকদিন আগে এই বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতে ঝামেলাও হয়।
মোট ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্যের সই করা অভিযোগপত্ৰ বিডিও, জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে জমা পড়েছে। তাঁদের মূল অভিযোগ দু'টি। এক, প্রায় ৬৬ বিঘা খাসজমি দখল করে উপপ্রধান একা চাষ করছেন। কুনলা মৌজাতে প্রায় ১০ বছর ধরে এই সরকারি জমি তিনি দখলে রেখেছেন। এই নিয়ে নানা সময় প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও কাজ হয়নি। এই সরকারি খাসজমি কেন দখলমুক্ত করা হবে না, তা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন তাঁরা। দ্বিতীয় অভিযোগ, ২০২২ সাল থেকে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের কোনও হিসেব নেই। হিসেব মেলাতে ভুয়ো ভাউচার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকায় বিনা টেন্ডারে টিউবওয়েল সারানো হচ্ছে। যা নিয়ম বহির্ভূত। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত অফিসেও এই নিয়ে গণ্ডগোলও হয়
তখন বৈঠকে অন্যান্য সদস্যদের ডাকা হয় না, এই অভিযোগ তুলে দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। বৈঠকে সব সদস্যই প্রায় ঝামেলা শুরু করেন। সেখানেও অভিযোগ ছিল, উপপ্রধান নিজের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। এর আগে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তৃণমূল হাইকমান্ডের নির্দেশ না মেনে গায়ের জোরে প্রধান পদে একজনকে বসানো হয়। আর সেই থেকেই বিতর্ক এখনও চলছে। একদিকে উপপ্রধান আর অন্যদিকে বিরোধী গোষ্ঠী। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই লোকসভা নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রায় ২২০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল।
এপ্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য সনু চট্টোপাধ্যায় জানান, পঞ্চায়েতের কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে। আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। নিজের ইচ্ছে মত জিনিস কেনা হচ্ছে। টেন্ডার ছাড়া মাল কেনা হচ্ছে।
বনগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন খাস জমি দখল মুক্ত করতে হবে। কিন্তু উপপ্রধান তুষার মণ্ডল প্রায় ৬৬ বিঘা খাস জমি দখল করে চাষ করছেন।
এই নিয়ে উপপ্রধান তুষার মণ্ডল ফোনে জানান, জমি দখলের অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ আছে। পঞ্চায়েতে এই সবে অডিট শেষ হয়েছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Kolkata News: কাশীপুরে প্রোমোটারের অফিসে তাণ্ডবের জের, গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ আরও ৩