(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
TMC: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, ফের মাথাচাড়া দিয়েছে TMC-র 'এক ব্যক্তি-এক পদ' বিতর্ক
Loksabha Election: লোকসভা ভোটের মুখেও, ফের একবার, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তৃণমূলে 'এক ব্যক্তি, এক পদ' ইস্যু।
কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে, তৃণমূলে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে, 'এক ব্যক্তি-এক পদ' বিতর্ক। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেছিলেন, তৃণমূলই একমাত্র দল, যারা এক ব্যক্তি এক পদ চালুর চেষ্টা করছে।
'এক ব্যক্তি-এক পদ' বিতর্ক: পুরভোটের আগে যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। লোকসভা ভোটের মুখেও, ফের একবার, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তৃণমূলে 'এক ব্যক্তি, এক পদ' ইস্যু। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর, অভিষেকের মুখে উঠে এসেছিল এক ব্যক্তি, এক পদ-প্রসঙ্গ। গত বছর পুরভোটের আগে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি নিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “এই নীতি দলে ৯৫ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। আগামী দিনে ১০০ শতাংশ করব। আমি যতদিন সাধারণ সম্পাদক রয়েছি, আমি এটা করব। কর্মীরা ভরসা রাখতে পারেন।’’
তারপরই, এই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কার্যত ঝড় বয়ে গেছিল। তখন, ‘এক ব্যক্তি, এক পদে’র দাবি জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুড়তুতো ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, খুড়তুতো বোন অগ্নিশা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পিসতুতো বোন অদিতি গায়েন। সোশাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি এক পদের দাবিকে সমর্থন জানান দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহার মতো তৃণমূল নেতারা, যাঁরা অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে, ফিরহাদ হাকিমকে এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক পর্যন্ত করতে হয়।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যিনি পারেন তিনি পারেন। অনেকের ক্ষমতা আছে। ১০ রকম কাজের লোড একা তুলে নিতে পারে। কাজের লোক কিন্তু খুব কম পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এঁদের হাতে অনেকগুলো দফতর থাকতেই হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এমন অনেক পদ থাকে যে পদগুলো ইটসেলফ ফুল টাইম জবের। সেই কাজগুলোয় ঘাটতি থেকে যায় অন্য জায়গায় সময় দিতে গিয়ে।’’
এখন, তৃণমূলের অন্দরে যখন নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের জল্পনা নিয়ে সরগরম রয়েছে রাজনীতি, তখন এই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রী ও মেয়র বলেন, “এটা আলোচনার মধ্যে সেদিনও ছিল, আজও আছে। একেক জনের একেকটা থিওরি, দলে এটা থাকা উচিত। এই খোলা হাওয়াটা আমাদের দলে আছে।’’একই সুর, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ, রাসবিহারীর বিধায়ক এবং দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমারেরও। তিনি বলেন, “তিনটে পদ নিয়ে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। কুণাল কী বলেছিন জানি না। যা বলার দলের মধ্যে বলব।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Madan Mitra Health Update: শারীরিক অবস্থার অবনতি, ICU-তে স্থানান্তরিত মদন মিত্র