Sougata Roy : 'কামড়ে কলঙ্কিত পুলিশ , দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা' মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের
TMC : তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যের সঙ্গে একমত রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।
কলকাতা : টেট বিক্ষোভে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে পেয়েছেন জামিন। একবার নয় দুবার কামড় পুলিশের, অভিযোগ অরুণিমা পালের। এই প্রেক্ষিতে পুলিশের কামড়-বিতর্কে দুই তৃণমূল নেতার দুই মত। অজিত মাইতির মন্তব্যের উল্টো মত সৌগত রায়ের। তাঁর মতে ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। গোটা ঘটনায় জেরে পুলিশের সংযম কলঙ্কিত হয়েছে পুরোটা বলেও মনে করেন তিনি। পাশাপাশি তদন্তের প্রত্যাশা রাখছেন তিনি।
'কামড়ে কলঙ্কিত পুলিশ'
গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে সৌগত রায় বলেছেন, 'পুলিশ কনস্টেবলও বলছে তাঁকে কামড়ে দিয়েছে। তবে কারোরই কামড়ানো উচিত নয়। ‘পুলিশ সংযম দেখিয়েছে। তবে একটি ছোট ঘটনায় পুলিশ যে সংযম দেখিয়েছে তা কামড়ে কলঙ্কিত হল।’ পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের কথা, ‘পুলিশ সংযত ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করে দেখা উচিত। নিশ্চয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ’। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যের সঙ্গে একমত রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।
'কামড়ালে রসগোল্লা ছুড়বে ?'
মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে যুব তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানে পিংলার তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, "গোটা সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা। পুলিশকে কামড়ে দেয়। তার বিনিময়ে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা খাওয়াবে! মমত্ববোধ এবং দরদ রেখেই বলছি, চক্রান্ত চলছে বাংলা জুড়ে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।"
অজিতের এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া চাইলে আক্রান্ত অরুণিমা বলেন, "এতে কী বলব আমি! কিছু কথার উত্তর অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। রুচিতে বাধে। এই ধরনের অসংবেনশীল বার্তা সমাজকে খারাপ বার্তা দিচ্ছে। শুদ্ধিকরণ হোক। এই অৈতিক অধঃপতন থেকে মুক্তি চাই।"
কামড়েই ক্ষত, জানাল হাসপাতাল
এ দিকে, সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনেও বলা হল, মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে। আজ সকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাতের ক্ষত পরীক্ষার জন্য আসেন অরুণিমা। তাঁর হাত পরীক্ষা করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক লেখেন, হিউম্যান বাইট, অর্থাত্, মানুষের কামড়ের চিহ্ন মিলেছে চাকরিপ্রার্থীর হাতে। অরুণিমাকে ঘটনার পর গ্রেফতার করা হলেও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।