Dilip Ghosh: তৃণমূলের ভয় দেখানোর সময় শেষ, এবার কথা বলবে ইডি, আদালত: দিলীপ
Dilip On Tmc: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধারের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি তোলপার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তিনটি দফতরও তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: নিউটাউন ইকোপার্কে (Eco Park) প্রাতঃভ্রমণে এসে ফের একবার শাসক দলকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, ''আমরা সোনার বাংলার কল্পনা করছিলাম। সোনার বাংলা বানাব। তৃণমূল সোনার বাংলা বানিয়ে দিল এটাও একটা দেখার বড় ইচ্ছে ছিল। আমরা বলতাম পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) গরীব হয়ে গেছে বাংলার মানুষ গরিব হয়ে গেছে। কিন্তু এখন ওইসব টাকার পাহাড় দেখলে কেউ বলবে না পশ্চিমবাংলার মানুষ গরীব বা পশ্চিমবাংলা গরীব।
কে চোর, কে সাধু?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধারের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি তোলপার। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ওঁদের বলার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। ভয় দেখানো, চমকানো দিন শেষ। এখন মানুষ বলবে ইডি বলবে বাকিটা আদালত বলবে। পার্থবাবু চেহারা এখনো চকচক করছে এতবার জেরা হওয়ার পরে চেহারার মধ্যে কোনরকম দাগ পড়েনি।''
ক্রমশ চাপ বাড়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''বিপদের দিনে যে পাশে থাকে সে আসল বন্ধু হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপদের দিনে দল ও সরকার তার কাছ থেকে সরে গেল। দেওয়ালে এত লেখা আছে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। কিন্তু কীসের ভরসা। মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় তো ফোনটাও তুললেন না, এরপর আর কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা করবেন?''
তৃণমূলে পার্থ-কুণাল দ্বন্দ্ব
দিলীপ ঘোষ বলেন, ''দেখুন আমার মনে হয় যে দিন আসছে সত্যি সত্যি যদি তদন্ত হয় তাহলে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ অনেককেই সরতে হবে। অনেকেই ক্ষমতা বাঁচানোর জন্য দৌড়াচ্ছেন এদিক-ওদিক। দিল্লি পর্যন্ত যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ অপরিসীম কষ্ট দুঃখ লজ্জা অপমানের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এই থেকে এবার মুক্তি চাই। পাপের ফল তো ভুগতেই হবে।''
এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক
গতকাল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ''গত ১০ থেকে ১১ বছর ধরে প্রত্যেকটি পরীক্ষা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। চাকরি পেয়েছেন যারা, তাঁরা টাকা দিয়ে পেয়েছেন। যারা যোগ্য তাঁরা চাকরি পায়নি। তারা আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে কেউ কথাও বলেননি। নির্বাচনের পরে কথা বলবে বলেও কথা বলেননি।''
আরও পড়ুন: ক্যামাক স্ট্রিটে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ সরাতে 'জোর' করেছে পুলিশ, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের