Partha-Arpita Update: আজই শেষ পার্থ-অর্পিতার ইডি হেফাজতের মেয়াদ, কী নির্দেশ দেবে আদালত?
আদালতে এই বিষয়টি আজও জানানো হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। নিয়মমাফিক আজ মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হবে জোকা ESI হাসপাতালে।

কলকাতা: ইডি (Enforcement Directorate) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Chatterjee) আজ ফের তোলা হবে আদালতে। ইডি সূত্রে খবর, এবার জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হবে। ইডি সূত্রে দাবি, তদন্তে অর্পিতা সহযোগিতা করলেও, জেরায় সহযোগিতা করেননি পার্থ (Partha Chatterjee)। আদালতে এই বিষয়টি আজও জানানো হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। নিয়মমাফিক আজ মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হবে জোকা ESI হাসপাতালে।
মুখোমুখি পার্থ-অর্পিতা: ইডি হেফাজতে মুখোমুখি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, অর্পিতাকে শুধু চিনতেন বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় পার্থ-অর্পিতাকে।
অর্পিতার ফ্ল্যাটে সোনার খনি: গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন হাইটস এর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনার খনি! ইডি সূত্রে দাবি, ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ৯টি সোনার নেকলেস, এ লেখা একটি সোনার লকেট। ১১টি সোনার কঙ্কন, ১৮ জোড়া কানের দুল, ৫টি আংটি, ৭টি সোনার হার, সোনার পেন, সোনার বার সহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। এত সোনার অলঙ্কার কেনার টাকা কোথা থেকে এল? কতদিন ধরে কেনা হয়েছে এই সব সোনার অলঙ্কার, এ সবই তদন্তে খতিয়ে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
পার্টনারশিপ সংস্থার তথ্য: গতকাল পার্থ-অর্পিতার যৌথভাবে নেওয়া একটি সংস্থার হদিশও মিলেছে। ৯ বছর আগে, সেই ২০১২ সাল থেকেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আর্থিক লেনদেনও ছিল। ২ জনের একটি পার্টনারশিপ সংস্থার তথ্য সামনে এনে এই দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ২০১২ সালের ১ নভেম্বর খোলা হয়েছিল মেসার্স অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস। সম অংশীদার ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দু’জনেরই ৫০ শতাংশ করে শেয়ার ছিল। ইডি সূত্রে খবর, ওই সংস্থার ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়টি অর্পিতা জানান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের। তারপর ইডি-র আধিকারিকরা সেই ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। পার্থ-অর্পিতার ওই সংস্থা গত ৯ বছরে কী কী কাজ করেছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।






















