Kolkata News: মেট্রোর কাজের সময় পাইপ ফাটায় জল জমার আশঙ্কা, বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস পুরসভার
Metro Pipe Line Problem: মাঝেরহাটে জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রোর পিলারের পাইলিংয়ের কাজ চলার সময় পুরসভার জলের নিকাশি পাইপ ফেটে বিপত্তি। এর জেরে ফের খিদিরপুরে জল জমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুরসভার নিকাশি পাইপ যেখানে ফেটেছে, সেখানে তৈরি হবে ম্যানহোল। মেট্রো তার পিলারকে ওই জায়গা থেকে কিছুটা সরাবে। আজ মাঝেরহাটে মেট্রোর পাইলিংয়ের সময় যেখানে পাইপ ফেটেছে, সেই জায়গা পরিদর্শন করে রেল, পুরসভা ও ঠিকাদার সংস্থার আধিকারিকরা। তারপরই এই সিদ্ধান্ত হয়।
সমস্যা সমাধানে বৈঠক: মাঝেরহাটে জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রোর পিলারের পাইলিংয়ের কাজ চলার সময় পুরসভার জলের নিকাশি পাইপ ফেটে বিপত্তি। এর জেরে ফের খিদিরপুরে জল জমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যা মোকাবিলায় কী করা যায়, তা দেখতে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন RVNL বা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের আধিকারিকরা, পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের অফিসার, ঠিকাদার সংস্থার কর্তারা। ছিলেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংও। তিনিই RVNL, পুরসভা ও নিকাশির পাইপলাইনের কাজে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে জায়গায় পাইপ ফেটেছে, সেখানে তৈরি করা হবে ম্যানহোল। পুরসভার ঠিকাদার সংস্থাকে ম্যানহোল তৈরির খরচ দেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, মেট্রো তার পিলার ওই জায়গা থেকে কিছুটা সরিয়ে করবে। খিদিরপুরে জল জমার সমস্যা নতুন নয়। সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা অনুযায়ী, খিদিরপুরের জমা জল, মাঝেরহাট পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে বাইরে বের করা হয়। যে পাইপ দিয়ে সেই জল বেরোয়, সেটিই ফেটেছে। পুরসভার আশ্বাস, পাইপ সারাতে সময়ও লাগলেও খিদিরপুরে জল জমার সমস্যা হবে না। কারণ, বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি রেখেছে পুরসভা।
এদিকে চলতি বছরেই জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো চালু করার ভাবনা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে আগেই। চলছে কারশেডের কাজ। এরই মধ্যে সড়ক পথে জোকায় আনা হয়েছে, কলকাতা মেট্রো থেকে অবসর নেওয়া ২টি নন এসি রেক। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এই রেকগুলি দিয়েই চলতি মাসের শেষের দিকে জোকা-বিবাদী মেট্রোর ট্রায়াল রান হবে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চালনো হবে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রুটে। এই রুটে থাকছে ৬টি স্টেশন। জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার ও তারাতলা। মেট্রে সূত্রে খবর, সিগন্যালিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ না হওয়ায় জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো চলবে সিঙ্গল লাইন সিস্টেমে। অর্থাত্ একসঙ্গে এক লাইনে একটি ট্রেনই থাকবে। কারশেড পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে উন্নত করা হবে সিগন্যাল সিস্টেম।





















