Sukanta Majumdar: ‘দ্রুত তদন্ত হলে আরও গ্রেফতার হতো’, দিলীপের পর CBI নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ সুকান্তরও
Post Poll Violence Case: ঘটনাচক্রে শনিবারই বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।
কলকাতা: দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পর এ বার সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে (CBI) নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতির। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post Poll Violence Case) তদন্তে সিবিআই ঢিলেমি দিয়েছে বলেই কার্যত দাবি করলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, "ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস-মামলায় সিবিআইয়ের আরও দ্রুত তদন্ত করা উচিত ছিল। সিবিআই দ্রুত তদন্ত করলে আরও বেশি গ্রেফতার হত।"
সিবিআই নিয়ে অসন্তোষ চেপে রাখলেন না সুকান্ত মজুমদার
ঘটনাচক্রে শনিবারই বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। ওই তিন জন তৃণমূল কর্মী এবং গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলরে ঘনিষ্ঠ বলে সিবিআই-এর একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সেই আবহেই সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত।
এ দিন সুকান্ত বলেন, "আরও তাড়াতাড়ি কাজ করলে আমরা খুশি হতাম। অনেক দিন হয়ে গেল, এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। এত দেরি করে গ্রেফতার হচ্ছে। আরও আগে গ্রেফতার হলে খুশি হতাম। CBI-এর তৎপরতা আরও দ্রুত হলে আমরা খুশি হব।"
আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই-জালে ৩, বীরভূম জুড়ে তল্লাশির পর গ্রেফতারি
এ নিয়ে যদিও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "প্রথম কথা ওঁরা এজেন্সিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চাইছেন। ওঁরা যেখানে পরাজিত হচ্ছেন, সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার নামে মিথ্যা গল্প ফাঁদছেন। নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন আমাদের উপর চাপ আছে কী করব? CBI তো তাঁদের কথা মানছে! কিন্তু যখনই মানছে না, তখনই CBI-কে দোষারোপ করছে। ওঁরা ভেবেছেনটা কী, ওঁরা কি CBI-এর ডিরেক্টর?"
এর আগে সিবিআই-এর সমালোচনায় মুখো খোলেন দিলীপ ঘোষও
এর আগে, সিবিআই-এর ভূমিকায় সরব হয়েছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সেটিং ছিল, তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার ইডি-কে রাজ্যে পাঠিয়েছে।" সেই নিয়ে দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়লেও, নিদের অবস্থানে অনড় থেকেছেন দিলীপ। বরং আরও একধাপ এগিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কার CBI আমার দেখার দরকার নেই। পাবলিকের টাকায় চলছে। আমাদের দেশের একটা সংস্থা আছে, তার ওপর আমাদের ভরসা আছে। যখন ভরসা থাকে না, তখন আমরা প্রশ্ন তুলি।" এ বার সুকান্তর গলাতেও একই সুর ধরা পড়ল।