WB COVID Situation: মানুষ সচেতন না হলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব, কোভিড নিয়ে একমত দিলীপ-অধীর
WB COVID Situation: উৎসবের মরসুমেই সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ায়েছে বলে মেনে নেন দিলীপও। তিনি বলেন, "দুর্গাপুজোর সময়ো করোনা বেড়েছিল। এ বারও ফের মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। মাস্ক না পরে গোটা রাত আনন্দ করছেন মানুষ।"
কলকাতা: বিপদের তোয়াক্কা না করে, মাস্ক ছাড়াই রাতের শহরে বর্ষবরণ পালন করতে দেখা গিয়েছে ভিড়কে। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে এ বার সতর্ক করলেন রাজ্য বিজেপি-র (BJP) প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর সাফ বক্তব্য, "মানুষ সচেতন না হলে, সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।"
শুক্রবার রাজ্যে দৈনির সংক্রমণ প্রায় সাড়ে তিন হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। তার মধ্যেই শহর জুড়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, "এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হল করোনা এবং ওমিক্রন। প্রার্থনা করি, ২০২২ সালে যেন এই ভয় এবং রোগ থেকে মুক্ত হতে পারি। গোটা পৃথিবী যেন অতিমারি থেকে মুক্ত হয়।"
উৎসবের মরসুমেই সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ায়েছে বলে মেনে নেন দিলীপও। তিনি বলেন, "দুর্গাপুজোর সময়ো করোনা বেড়েছিল। এ বারও ফের মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। মাস্ক না পরেই গোটা রাত আনন্দ করছেন মানুষ। আরও কড়াকড়ির দরকার, যাতে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে না পারে। তবে এ ক্ষেত্রে নাগরিকদেরই সতর্ক হতে হবে। তা নইলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিধিনিষেধ না মানলে, সামনে খুব বড় বিপদ আছে।"
প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) এ ব্যাপারে একমত। তিনি বলেন, "কোভিড এবং ওমিক্রন দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও এই তালিকায় রয়েছে। নতুন বছরে সবাই আনন্দ করবেন।উৎসব পালন করবেন। আনন্দ করুন। কিন্তু কোভিডের বিপদ এখনও জীবন থেকে যায়নি। তৃতীয় ঢেউয়ে ক্রমশ আচ্ছন্ন হচ্ছে দেশ। আনন্দ করার অধিকার নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু নিজের, পরিবারের এবং প্রতিবেশির স্বার্থে সতর্কতা অবলম্বন করাও জরুরি।"
কোভিড সংক্রমণ ঊপ্ধ্বমুখী হওয়ায়, ইতিমধ্যেই রাজ্যে নতুন করে বিধিনিষেধ জারির চিন্তা-ভাবনা চলছে। ইতিমধ্যেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছাত্রদিবস পালন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 'দুয়ারে সরকার' শিবিরও পিছনোর চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। চলচ্চিত্র উৎসব, বইমেলা ঘিরেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা