![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
West Bengal Flood Situation: ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবছে ক্ষেত, পুজোর আগে চরম ক্ষতির মুখে চাষীরা
ফুঁসে ওঠা দামোদরের জলে ডুবেছে বিষ্ণুপুরের ধান ও সবজি ক্ষেত। জল নামলেও, পুজোর মুখে চাষে ক্ষতির জেরে মাথায় হাত কৃষকদের।
![West Bengal Flood Situation: ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবছে ক্ষেত, পুজোর আগে চরম ক্ষতির মুখে চাষীরা WB Flood situation DVC Water drowned field farmers are on tension before durga puja West Bengal Flood Situation: ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবছে ক্ষেত, পুজোর আগে চরম ক্ষতির মুখে চাষীরা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/02/5e6f9774a2ef17d78dd802e806ce32e2_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ভারী বৃষ্টি, তার ওপর ডিভিসির ছাড়া জল। ফুঁসে ওঠা দামোদরের জলে ডুবেছে বিষ্ণুপুরের ধান ও সবজি ক্ষেত। জল নামলেও, পুজোর মুখে চাষে ক্ষতির জেরে মাথায় হাত কৃষকদের। ক্ষতির কথা মানছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক। সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ যেন গোদের ওপর বিষফোড়া। একে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি, তার ওপর DVC-র ছাড়া জল। ফুঁসে ওঠা দামোদরের জল ঢুকেছে বাঁকুড়ার একের পর এক গ্রামে। সেই জল নামা শুরু হতেই সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি। আমন ধান থেকে সবজি ক্ষেত, ক্ষতির মুখে চাষবাস।বাঁধাকপি থেকে বেগুন, জমিতে রয়েছে জল। এই ক্ষতি কীভাবে, সামাল দেওয়া যাবে সে চিন্তায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের।
সোনামুখীর কৃষক দুলাল মণ্ডল বলেন, "এই কৃষিকাজ থেকেই আমাদের সংসার চলে। এই নিম্নচাপ ও ভারী বৃষ্টির জেরে আমাদের সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এর মাঝে আমাদের চিন্তা যে এরপর কীভাবে সংসার চলবে।" বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার সোনামুখী, পাত্রসায়ের ও কোতুলপুর এলাকায় আমন ধান ও সবজি চাষ হয়।বাঁধাকপি থেকে বেগুন, কিছুদিনের মধ্যেই তুলে নেওয়ার কথা ছিল সবজি। এই সময় ফসল নষ্ট হওয়ায়, যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, জানাচ্ছেন কৃষকরা।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে সকলে।
সোনামুখীর কৃষক জয়দেব মণ্ডল বলেন, "আমার সমস্ত ধানের জমি জলে ডুবে গেছে। তাছাড়া আমার বেগুন, পটল ও পেঁপের ক্ষেত সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় হয়তো এবার আমাদের লোকের কাছে কাজ করে খেতে হবে। সরকার যদি কোনো লোনের ব্যবস্থা করে তাহলে বাঁচতে পারব।" পাত্রসায়েরের কৃষক অসিত ধারা বলেন, "এই বৃষ্টিতে আমার এক বিঘে বাঁধাকপি নষ্ট হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় যদি সরকার পাশে দাঁড়ায় তবেই আমরা বাঁচতে পারবো।"
ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ ধান জমি ও ৬০ শতাংশ সবজি নষ্ট হয়েছে, জানাচ্ছেন মহকুমাশাসক। কৃষকদের সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, "কৃষি দফতর খতিয়ে দেখছে। শেষ পাওয়া খবর এইসব এলাকার ৮০% ধানের জমিতে ধান নষ্ট হয়ে গেছে এবং ৬০% সব্জি নষ্ট হকয়ে গেছে। আজ ব্যাপারে ফাইনাল রিপোর্ট আমরা রাজ্যকে পাঠাবো। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শীঘ্রই সাহায্য পান।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)