West Bardhaman News: কালী পুজোর আগে কাঁকসায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, মৃত ১, অসুস্থ বহু, 'আসে না সরকারের পরিস্রুত পানীয় জল..' !
West Bardhaman Diarrhea Case: দীপাবলির আগে উদ্বেগের মুখে কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা , কী অভিযোগ তাঁদের ?
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ডায়রিয়ার প্রকোপ, মৃত ১ অসুস্থ পাঁচ জন ভর্তি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে, পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয়দের একাংশের সমালোচনায় বিরোধীরা, পাল্টা আশ্বাস শাসকদলের । মৃত মহিলার নাম উর্মিলা মুর্মু (৩৫)। ব্যাপক চাঞ্চল্য কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা এলাকায়।
'টিউবওয়েল সিল'
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে এই এলাকার বাসিন্দাদের বমি, পায়খানা হতে থাকে। শনিবার প্রথমে উর্মিলা মূর্মুকে দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রবিবার স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর থেকে এলাকার একাধিক মানুষ অসুস্থ হয়। সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরো চার জনকে। তাদের মধ্যে বুখী হাঁসদা নামের এক মহিলা আশঙ্কাজনক। তাঁকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এলাকায় পৌঁছে বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল সিল করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। সরকারিভাবে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছানোর জন্য পাইপলাইন বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই জল এখনও পৌঁছায় না। সেই জন্যই মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকার মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
ঠিক কী হয়েছিল ?
অসুস্থ মহিলার স্বামী মুঠু হাঁসদার অভিযোগ,"আমার স্ত্রীর মাথা ঘুরতে থাকে বমি হতে থাকে এবং পায়খানা হতে থাকে। অচৈতন্য হয়ে পড়লে স্ত্রীকে ভর্তি করি প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে বিধান নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। যেখানেই চিকিৎসা চলছে। পঞ্চায়েতে তরফ থেকে এখন দেওয়া হচ্ছে ট্যাঙ্কারে করে জল। আর সরকারিভাবে বসানো পাইপ লাইনে আজও জল আসে না। সোমবার একবার জল পাঠানো হয়েছিল। সেই জলের গুণমানও খারাপ। মঙ্গলবার এখনও পর্যন্ত জল দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে টিউবওয়েলেরই জল খেতে হচ্ছে। সেই জন্যই আমাদের এই রকম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমাদের মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন, 'অভয়ামঞ্চ' তৈরি করে ফের পথে নামতে চলেছে চিকিৎসকরা
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন,"স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে কথা বলে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওষুধ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দ্রুত যাতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে যায় বাড়িতে বাড়িতে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।" দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই জানিয়েছেন পঞ্চায়েত গুলোতে কাজ হয় না কিছুই। তার ফলে পানীয় জল থেকে এই ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।