(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Soumitra Khan : ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে যে কোনও ভাবে হারাতে রাজি আছি’, নন্দকুমারে ‘রাম-বাম জোটের’জয়ের পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা সৌমিত্র খাঁয়ের
Sujan Chakraborty : 'বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদের কথা তো তাঁর দলই শোনে না। তাঁর কথার কী মূল্য আছে !' আক্রমণ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর
কলকাতা : পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) নন্দকুমারে ‘রাম-বাম জোটের’ জয়ের পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের (Soumitra Khan)। ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে যে কোনও ভাবে হারাতে রাজি আছি’ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
'তৃণমূল ভার্সেস আমরা সবাই'
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা, 'তৃণমূল ভার্সেস আমরা সবাই। তৃণমূলকে বাদ দিয়ে আমাদের সঙ্গে যাঁরাই আসবেন, আমরা সবাইকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে চাই। নিচু স্তরে কারও সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর প্রক্রিয়ায় সঙ্গে আছি। তৃণমূল কংগ্রেসকে যে কোনও ভাবে হারাতে রাজি আছি'। প্রসঙ্গত, সোমবার নন্দকুমারে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতেছিল বাম-বিজেপি ‘জোট’। যে প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি সৌমিত্র খাঁ-র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাহলে কি বিজেপি বামেদের হাত ধরবে ? যার উত্তরে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, 'এই কথা তো আমি বলতে পারি না। এটা দল ঠিক করবে। তবে এটুকু বলতে পারি নিচু স্তরে তৃণমূল বনাম আমরা সবাই।'
পাত্তা দিতে নারাজ বামেরা
বিজেপি সাংসদ বামেদের হাত ধরার ব্যাপারে আপত্তি না থাকার কথা জানালেও তাঁর কথাকে পাত্তাই দিতে নারাজ বামেরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেছেন, 'বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদের কথা তো তাঁর দলই শোনে না। তাঁর কথার কী মূল্য আছে ! উনি তো কংগ্রেস থেকে তৃণমূল ঘুরে এখন বিজেপিতে, ওঁর আরও কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে বাংলার মানুষ জানে তৃণমূলকে হারানোটা জরুরি। আর তাতে বিজেপিকে সমর্থনের যে মানে দাঁড়ায় না সেটাও বাংলার মানুষ জানেন। কারণ তাঁরা দেখেছেন আজ যিনি তৃণমূলে, কাল বিজেপিতে। আবার উল্টোটাও। তাই তৃণমূলকে হারাব বিজেপিকে দিয়ে, বিজেপিকে হারাব তৃণমূলকে দিয়ে এটা বাস্তবে সম্ভব নয়। '
আলোচনায় বাম-বিজেপি জোট
সরকারিভাবে বাম বা বিজেপির প্রার্থী না হলেও দুই দলের সমর্থকদের মঞ্চ তৈরি করে ভোট লড়া ও সবকটি আসনে শাসক তৃণমূলের সমর্থকদের পরাজিত করার ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক মাস আগে যে ঘটনা বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে রাজনীতির প্রেক্ষাপটে।