WB Bus Service:কবে বন্ধ হবে রেষারেষি? বাসের কমিশন প্রথা নিয়ে বৈঠকে কী বার্তা পরিবহণমন্ত্রীর ?
WB Bus Service Commission System: বেপরোয়া গতিতে লাগাম পরাবে কে? কবে বন্ধ হবে এই রেষারেষি? কবে বন্ধ হবে এই মৃত্যুর মিছিল? কী দাবি বাস মালিকদের একাধিক সংগঠনের ?
অরিত্রিক ভট্টাচার্য অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্য সরকারের বাসেই তো কমিশন প্রথায় মাইনে হয়। আগে সেটা বন্ধ করা দরকার। দাবি, বাস মালিকদের একাধিক সংগঠনের। বাস মালিকদের সাফ কথা, বিকল্প পথের সন্ধান না করে কমিশন প্রথা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সল্টলেক,ধাপা,পঞ্চসায়র। বেপরোয়া গতিতে লাগাম পরাবে কে? কবে বন্ধ হবে এই রেষারেষি? কবে বন্ধ হবে এই মৃত্যুর মিছিল? বার বার ঘটে চলা দুর্ঘটনায় একের পর এক অকাল মৃত্যু বার বার তুলে দেয় এই প্রশ্ন। আলাপ-আলোচনা হয়, তৎপর হয় প্রশাসন। কিন্তু স্থায়ী উত্তর মেলে না। এরই মধ্যে, সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হল বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন।
ওয়েস্টবেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন,' রাজ্য সরকারের কমিশন প্রথায় স্যালারি হয়। আগে ওটা বন্ধ হোক। বন্ধ করার কথা বলছে, বিকল্প কী। না বার করে এসব করার কোনও মানে নেই। এসব করে কন্ট্রোল করা যাবে না।' মঙ্গলবার সল্টলেকে বাসের রেষারেষিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১১ বছরের শিশুর। কোল খালি হয়ে গেছে এক মায়ের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার কলকাতায় আরও দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় পড়ে স্কুল বাস এবং পুলকারের। গতি ও দুর্ঘটনায় লাগাম পরাতে বাস ও মিনিবাসে কমিশন তুলে দেওয়ার বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার বিরোধিতা করে এসেছেন বাস মালিকরা। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাস সংগঠন এবং ক্যাব সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী। দুর্ঘটনা এড়াতে বেপরোয়া গাড়ি চালালে খুনের মামলা এবং বাসে কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
কিন্তু সরকারের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাস মালিকদের একাংশ। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, দুর্ঘটনায় খুনের মামলায় হলে তো চালক পাওয়া যাবে না। সরকারি বাসই বন্ধ হয়ে যাবে চালকের অভাবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনার বাস রুটগুলিতে বাস-মিনিবাসে কমিশন প্রথা চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন, আবাসের ঘর পেতে টাকা দাবি ! দক্ষিণ দিনাজপুরে BDO অফিসের কর্মীর ভিডিও ভাইরাল
সারা দিনে যা টিকিট বিক্রি হয় তার ১২ শতাংশ কমিশন হিসেবে পান চালক। ৬ শতাংশ করে পান কন্ডাক্টর এবং হেল্পার। অর্থাৎ, যত টিকিট বিক্রি তত কমিশন! বেশি কমিশনের জন্য প্রয়োজন বেশি যাত্রী তোলা। আর বেশি যাত্রী তোলার জন্যই শুরু হয় বাসে বাসে রেষারেষি, ঘটে দুর্ঘটনা, মৃত্যু। ভাবেই বেপরোয়া বাসের রেষারেষিকে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে মানুষের নিরাপত্তা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।